‘বাংলাদেশেও বিশ্বমানের চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছে’
২৫ জুন ২০২৪ ২২:০৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশেও এখন বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাচ্ছে। চিকিৎসা একটি সেবাখাত হলেও ব্যবসার ঊর্ধ্বে নয়। তবে ব্যবসায় সেবার মান নিশ্চিত করতে হবে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে দিনব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন। বিশেষায়িত ল্যাব এসপেরিয়া হেলথ কেয়ার লিমিটেডের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য ও পরিবারের সদস্যদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজার সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে এসপেরিয়া হেলথ কেয়ার লিমিটেডের চেয়ারম্যান গোলাম বাকি মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, চসিকের প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রব, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালের (ইউএসটিসি) কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এম এ রউফ বক্তব্য দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের ল্যাবগুলোতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা আরও উন্নত হওয়া প্রয়োজন। পরীক্ষার ফলাফল সঠিক পাওয়া গেলে যেকোনো রোগের চিকিৎসা বাংলাদেশের চিকিৎসকদের মাধ্যমে সম্ভব।’
সভাপতির বক্তব্যে সালাহউদ্দিন মো. রেজা বলেন, ‘নন-ট্রেডিশনাল টেস্টগুলো চট্টগ্রামের এসপেরিয়ায় হচ্ছে, যে কারণে বিদেশনির্ভরতা কমছে। মানুষের সাধ্যের মধ্যে তাদের সেবাগুলো অব্যাহত থাকবে বলে আমাদের বিশ্বাস।’
দেবদুলাল ভৌমিক বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য লাখ লাখ মানুষ দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। এটা আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। আমাদের দেশে ভালো চিকিৎসক রয়েছেন। পাশাপাশি মানসম্পন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা গেলে মানুষের বিদেশমুখীতা কমবে।’
এদিন স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছেন- চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রব, মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিভাগের প্রাক্তন সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট মো. একরাম হোসেন, চমেক হাসপাতালের ডায়াবেটিক, থাইরয়েড এবং হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. সাইফুল্লাহ চৌধুরী, বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজের নবজাতক ও শিশু রোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. ফজলে রাব্বি সিহাব, চমেক হাসপাতালের গাইনোকোলজিস্ট- অবসটেট্রিকস বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. সৈয়দা ইয়াসমিন আক্তার, নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ ডারমাটোলজি বিভাগের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ খান এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অর্থোপেডিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জাবেদ জাহাঙ্গীর তুহিন।
চিকিৎসা শেষে রোগীদের এসপেরিয়ার সৌজন্যে ওষুধ দেওয়া হয়। এছাড়া চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য এসপেরিয়া ল্যাবে পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম