সুয়ারেজ লাইনে আগুন, উত্তপ্ত সড়ক— লালমাটিয়ায় রাস্তা কাটছে তিতাস
২৬ জুন ২০২৪ ০০:৫৪
ঢাকা: রাজধানীর লালমাটিয়ায় সুয়ারেজ লাইনে আগুন লাগার তথ্য জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ওই এলাকায় ম্যানহোল দিয়ে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে। ওই সড়কসহ আশপাশের এলাকাও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। খবর পেয়ে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন ওই এলাকায় সড়ক কাটতে কাজ শুরু করেছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) সন্ধ্যায় লালমাটিয়ার এফ-ব্লকে (১/৪) কাজী অফিসের সামনের সড়কে দেখা গেছে এমন চিত্র। পরে মধ্যরাতের দিকে সড়কটি কাটার কাজ শুরু করেছে তিতাস। ধারণা করা হচ্ছে, সড়কের নিচে কোথাও গ্যাস জমে আগুন লেগে থাকতে পারে।
দিবাগত রাত ১২টার দিকে লালমাটিয়ার ওই সড়কটি দুপাশ থেকে ঘিরে নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তিতাস ছাড়াও ফায়ার সার্ভিস, ডেসকো, ঢাকা ওয়াসা ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা সেখানে রয়েছেন। আগুন ও ধোঁয়ার কারণ খুঁজে বের করতে কাজ করছেন তারা।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে তারা হঠাৎ ওই সড়ক এলাকাটি উত্তপ্ত অনুভব করতে শুরু করেন। এ সময় ম্যানহোল দিয়ে ধোঁয়া বের হতে দেখেন কেউ কেউ। পরে স্থানীয় একজন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করেন। তবে সেখান থেকে সরাসরি সহায়তা পাননি তিনি। পরে সিটি করপোরেশন ও তিতাস গ্যাসের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেন। মধ্যরাতের দিকে সেখানে উপস্থিত হয়ে কাজ করছেন তিতাসের কর্মীরা। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও সেখানে উপস্থিত রয়েছেন।
তিতাসের জরুরি গ্যাস নিয়ন্ত্রণ বিভাগের ধানমন্ডি টিমের নম্বরে যোগাযোগ করলে কথা হয় তিতাসের কর্মী মো. জাকির হোসেনের সঙ্গে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে জাকির সারাবাংলাকে বলেন, ‘সুয়ারেজের লাইনে আগুন ছিল। সেই আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। এখন রাস্তা কেটে ভেতরের পরিস্থিতি দেখা হবে। ভেতরে কোথাও গ্যাস জমে আগুন লেগে থাকতে পারে। আমরা কাজ করছি। পরে বিস্তারিত জানানো যাবে।’
লালমাটিয়ার ওই সড়কে তিতাসকে সহায়তা করছে মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট। মোহাম্মদপুর স্টেশনের ডিউটি অফিসার মো. মোরসালিন মিয়া রাত ১টার দিকে সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রথমে ৭টা ৫৮ মিনিটে প্রথম ম্যানহোলে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। ওই সময় দুটি ইউনিট গিয়ে আগুনটি নিভিয়ে চলে আসে। তখনো তিতাসের কেউ সেখানে ছিলেন না। পরে তিতাসের কর্মীরা এসে কাজ শুরু করার সময় আবার খবর দেয়। রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে আবারও দুটি ইউনিট সেখানে গিয়েছে। সেখানে এখনো কাজ চলছে।’
সারাবাংলা/ইউজে/টিআর