Wednesday 04 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘অবৈধ সম্পদ অর্জনে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিষয়ে তদন্ত চলছে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৬ জুন ২০২৪ ১৯:১৭ | আপডেট: ২৬ জুন ২০২৪ ২০:৩৬

ঢাকা: যেসব পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে তাদের সম্পদের বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

তিনি বলেন, অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করার কোনো সুযোগ নেই, পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্পদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে। যাদের অবৈধ সম্পদ থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বুধবার (২৬ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের সঙ্গে পুলিশের দ্বন্দ্বের বিষয়ে আইজিপি বলেন, পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সাংবাদিকদের বৈঠক হয়েছে, আশা করি বিষয়টি আলোচনার মধ্য দিয়ে নিরসন হবে।

পরীমণি-সাকলায়েন কাণ্ডে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ জিরোটলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। যে অভিযোগ পাওয়া গেছে, অভিযোগটি প্রমাণিত হওয়ায় সাকলায়েনকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জঙ্গিবাদ নাশকতাসহ যেকোন অগণতান্ত্রিক অপশক্তির বিরুদ্ধে পুলিশ সদা সোচ্চার রয়েছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধে বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা প্রশংসনীয়ভাবে সফল হয়েছে। তাই জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ প্রায় ১০০ বছরের ওপরে দায়িত্ব পালন করে আসছে। দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে আসছি। এক সময় খুলনা অঞ্চল সন্ত্রাসের জনপদ ছিল। প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরোটলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। সেই নীতির আলোকে আমরা দায়িত্ব পালন করছি। সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে ভিন্নমুখী পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের কল্যাণে কাজ করে। পুলিশের ইউনিট প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছিটিয়ে থাকে। পুলিশের থানা প্রতিষ্ঠার পর থেকে কখনও তালা লাগানো থাকে না। সব সময় থানার দরজা খোলা থাকে, মানুষ সেখানে আসে। মানুষের সমস্যা শোনার জন্য আমরা প্রস্তত থাকি। সব ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে আমরা প্রস্তুত আছি। বিল্ডিং এবং জনবল বাড়বে এটা আমাদের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য নয়, জনসেবার মধ্য দিয়েই ঋণ পরিশোধ করতে চাই।

আইজিপি বলেন, সুন্দরবন কখনো শান্ত ছিল না, দস্যুদের অভয়ারণ্য ছিল। প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনকে জলদস্যুমুক্ত ঘোষণা করেছেন। এক সময় খুলনার জনপদ সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনির্দিষ্ট নির্দেশনায় আমরা সেই সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। খুলনা এখন শান্তির নগরী। বাংলাদেশ পুলিশ এদেশের মানুষের সেবা দিয়ে গর্বিত হতে চায়। এবার আমরা স্লোগান দিয়েছি ‘দেশ সেবাই আমাদের আনন্দ, সেবাই আমাদের উৎসব’। সেই সেবাকে ব্রত নিয়ে আমরা কাজ করছি।

এর আগে তিনি চারতলা অস্ত্রাগার ভবন, ছয়তলা মাল্টিপারপাস ভবন ও বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এছাড়া বড় বয়রা পুলিশ ফাঁড়ি ও মাল্টিপারপাস শেড উদ্বোধন করেন।

এ সময় কেএমপির পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক, খুলনার ডিআইজি (কমান্ড্যান্ট) মো. নিশারুল আরিফ, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মঈনুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এএন্ডএফ) সরদার রকিবুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল, অতিঃ দায়িত্বে ক্রাইম এন্ড অপারেশন) মোছা. তাসলিমা খাতুন, খুলনা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান হকসহ কেএমপি’র ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার-ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/এনইউ

আইজিপি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর