কয়েদি পালানোর ঘটনায় মামলা, ২ তদন্ত কমিটি
২৬ জুন ২০২৪ ১৫:২৩
বগুড়া: বগুড়ার কারাগারের কনডেম সেলের ছাঁদ ফুটো করে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত চার কয়েদির পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় বগুড়া জেলা প্রশাসন ও কারা কর্তৃপক্ষ পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এর মধ্যে কারা কর্তৃপক্ষের গঠন করা কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুন) ভোর ৪টার দিকে আসামিদের পালানোর বিষয়টি টের পায় কারা কর্তৃপক্ষ। এর ২০ মিনিটের মধ্যেই ওই চার আসামিকে ফের গ্রেফতার করে কারা কর্তৃপক্ষ।
বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, খবর পেয়েই তিনি এডিএমকে কারাগারে পাঠান। পরে তিনি পুলিশকেও বিষয়টি অবহিত করেন। সকালে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সকালে কারাগার পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন- কারাগারের ছাদ ফুটো করে পালাল ৪ ফাঁসির আসামি, ফের গ্রেফতার
এ ঘটনায় বগুড়া জেলা কারাগারের জেলার ফরিদুর রহমান রুবেল বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গ্রেফতারের পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কাছ থেকে স্ক্রু ডাইভার ও স্টিলের পাত উদ্ধার করা হয়। চারজনই কারাগারের জাফলং সেলের ছাদ সুকৌশলে ফুটো করে পালিয়েছিলেন।
ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে এজাহারে বলা হয়, রাত ৩টা ৫ মিনিটে কারারক্ষী মো. স্বপন মিয়া কারাগারের উত্তর পাশের পেরিমিটার ওয়ালের (কারাগারের উঁচু প্রাচীর) বাইরে বিছানার চাদর ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে অন্য রক্ষীদের খবর দেন। পরে জেল সুপার ও জেলার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তারা জাফলং সেলের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ছাদ ভাঙা ও চার আসামি পলাতক দেখতে পান। রাত ১টা থেকে রাত ৩টা ৫ মিনিটের মধ্যে পালানোর ঘটনা ঘটে বলে উল্লেখ করা হয়।
দুই তদন্ত কমিটি
এ ঘটনা তদন্তে বগুড়া জেলা প্রশাসন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল কায়েসকে প্রধান করে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। কমিটির বাকি সদস্যরা র্যাব, পুলিশ, কারাগার, ফায়ার সার্ভিস ও গণপূর্ত বিভাগের প্রতিনিধি।
আরও পড়ুন- ‘পালানোর ২০ মিনিটের মধ্যেই ৪ ফাঁসির আসামি গ্রেফতার’
বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, তদন্তের জন্য কমিটিকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়নি। তবে দ্রুততম সময়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি ডিআইজি প্রিজনকে দেওয়া হবে। প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে কারা কর্তৃপক্ষ পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে একই ঘটনা তদন্তে পৃথক কমিটি গঠন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। তিন সদস্যের এই কমিটির প্রধান অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল শেখ সুজাউর রহমান। তনি জানান, তিন সদস্যের কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তারা এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যে চার আসামি ছাদ ফুটো করে পালিয়েছিলেন তারা হলেন— কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা এলাকার নজরুল ইসলাম মজনু, নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার ফজরকান্দি এলাকার আমির হোসেন, বগুড়ার কাহালু পৌরসভার মেয়র আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. জাকারিয়া ও বগুড়ার কুটুরবাড়ি পশ্চিমপাড়া এলাকার ফরিদ শেখ।
সারাবাংলা/টিআর