‘৭৫ বছরে আওয়ামী লীগের অর্জন বিস্ময়কর’
২৮ জুন ২০২৪ ১৮:৫৯
ঢাকা: গত ৭৫ বছরে আওয়ামী লীগের অর্জন বিষ্ময়কর। আওয়ামী লীগ স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠন করেছে। প্রান্তিক মানুষের কণ্ঠস্বর হিসেবেই দলটির সৃষ্টি। আর এসব কিছুর পেছনে বড় অবদান রেখেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
শুক্রবার (২৮ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
এডুকেশন, রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম আয়োজিত ‘আওয়ামী লীগের সফল এবং গৌরবময় পথচলার ৭৫ বছর’ শীর্ষক এই আলোচনাসভায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভুঁইয়ার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘৭৫ বছরে আওয়ামী লীগের অর্জন বিস্ময়কর। আওয়ামী লীগের বড় অর্জন হলো স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। এর পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এই বঙ্গে অনেক নেতা এসেছেন। তবে বাঙালিদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র একমাত্র তিনিই তৈরি করে দিয়ে গেছেন। আওয়ামী লীগের কারণে আজকে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হাতছানি দিচ্ছে এখন। আমরা উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বাঙালিদের একটি রাষ্ট্র দিয়েছে। এই রাষ্ট্রকে শক্ত ভিতে প্রতিষ্ঠা করার জন্য যা করা দরকার, সবই করেছে দলটি। স্বাধীনতার পর মাত্র ৬৫ দিনের মাথায় পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের সৈন্য চলে গেছে। বঙ্গবন্ধুর ক্যারিশমেটিক নেতৃত্বের কারণেই এটি সম্ভব হয়েছিল। পৃথিবীতে এমন ঘটনা বিরল।’
তিনি আরও বলেন, ‘কসোভা স্বাধীন হওয়ার পর খুব বেশি স্বীকৃতি পায়নি। বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিনবছরের মধ্যে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের সদস্যপদ এনে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু অল্প কয়দিনেই দেশটাকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর দলে অনেক দ্বিধাবিভক্তি ছিল। এরপর আমাদের সৌভাগ্য, তার কন্যা শেখ হাসিনা দলের হাল ধরেছেন।’
আলোচনা সভার মূল আলোচক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, ‘মুসলিম লীগ ছিলো মুসলিম জাতীয়তাবাদকে ঘিরে গড়ে ওঠা সংগঠন। তারা কেবল মুসলমানদের ফোকাস করেছিল। একই সময়ে বামমতাদর্শের কিছু দল ছিল। যাদের উদ্দেশ্য পজিটিভ হলেও আমরা দেখেছি শেষ পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম ছিল নেগেটিভ।’
তিনি বলেন, “এই অঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কথা বলার জন্য একটি দলের প্রয়োজন হলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা প্রান্তিক গোষ্ঠীর যে শিক্ষার্থী, কৃষক-শ্রমিক-মেহেনতি মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে সেই নতুন দলটি এলো আওয়ামী লীগ নামে। আওয়ামী লীগকে বলিষ্ঠ করার জন্য অনেক প্রবীণ, প্রজ্ঞাবান, বিলাতফেরত কেতাদুরস্ত লোক ছিলেন। কিন্তু মাটির মানুষকে বোঝার জন্য একজন তরুণ দরকার হলো। আর সেই তরুণটি ছিলেন ‘মুজিব ভাই’ নামে পরিচিত হওয়া বঙ্গবন্ধু।”
তিনি বলেন, ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন বঙ্গবন্ধুর মেন্টর। সবকিছুতেই তিনি তার সঙ্গে ছিলেন। কেবল বাংলা ভাষার প্রশ্নে সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধু বিতর্ক করেছিলেন।’
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনসহ অনেকে।
সারাবাংলা/আরআইআর/একে