মিতু হত্যা মামলায় আরও ২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
১ জুলাই ২০২৪ ২৩:১৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় আরও দু’জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত। এ নিয়ে আলোচিত এ মামলায় মোট ৫২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।
সোমবার (১ জুলাই) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। সাক্ষীরা হলেন- চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের সাবেক ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহান ও মামলার দ্বিতীয় তদন্তকারী কর্মকর্তা চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মো. কামরুজ্জামান।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আবদুর রশীদ সারাবাংলাকে জানান, সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলায় আরও দু’জন সাক্ষী দিয়েছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের সাবেক ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহানের সাক্ষী ও জেরা দু’টিই সম্পন্ন হয়েছে। আর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামানের সাক্ষ্য শেষ হলেও জেরা শেষ হয়নি। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামীকাল (মঙ্গলবার) দিন ধার্য করেছেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সাত জনকে আসামি করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। এতে মামলার বাদী বাবুল আক্তারকেই প্রধান আসামি করা হয়। অভিযোগপত্রে আরও যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু এবং শাহজাহান মিয়া। আসামিদের মধ্যে শুধু মুসা পলাতক আছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে।
ওই বছরের ১০ অক্টোবর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। ২০২৩ সালের ১৩ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ওই বছরের ৯ এপ্রিল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথম সাক্ষী হিসেবে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন সাক্ষ্য দেন।
সারাবাংলা/আইসি/পিটিএম