প্রথমবারের মতো নিট রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলার, জানাল বাংলাদেশ ব্যাংক
২ জুলাই ২০২৪ ১৫:৪৭
ঢাকা: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) স্বীকৃত নিয়ম অনুসরণ করে প্রথমবারের মত আনুষ্ঠানিকভাবে নিট রিজার্ভ তথ্য জানাল বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার (২ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গত জুন শেষে আইএমএফ স্বীকৃত বিপিএম৬ অনুযায়ী নিট রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি।’ তবে, প্রকৃত পরিমাণ কতো তা তিনি স্পষ্ট করেননি।
এর আগে, গত বছরের জানুয়ারিতে আইএমএফে’র ঋণ পাওয়ার পর ২০২৩ সালের জুলাই থেকে বিপিএম৬ পদ্ধতির গ্রস রিজার্ভের তথ্য জানিয়েছে আসছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তখন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘নিট রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করবেন না।’
সেই থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের তিনটি হিসাব করে আসছে। বাংলাদেশ ব্যাংক মঙ্গলবার জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস হিসাবে গত জুন শেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬.৮১ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম৬ এর গ্রস হিসাবে তা ২১.৮৩ বিলিয়ন ডলার ও নিট রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
উল্লেখ্য, নিট রিজার্ভ হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চিতি থেকে সকল প্রকার দায়-দেনা বাদ দেওয়ার পর যা থাকে। আইএমএফের সদস্য রাষ্ট্রগুলো নিট রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করে থাকে।
শর্ত বাস্তবায়ন করতে আইমএফ এর তৃতীয় কিস্তি পাওয়ার পর প্রথমবার নিট রিজার্ভের তথ্য জানাল বাংলাদেশ ব্যাংক। এ হিসাবে নিট রিজার্ভের চেয়ে ১০.৮১ বিলিয়ন ডলার বেশি দেখাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী, কোনো দেশের আমদানি ব্যয় মেটাতে তিন মাসের মত রিজার্ভ থাকতে হয়।
আমদানি নিয়ন্ত্রণ করার পরেও বাংলাদেশের গড়ে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি আমদানি ব্যয় হচ্ছে প্রতি মাসে। গত মাসে তা ছয় বিলিয়ন ডলার ছুঁয়েছে। এ হিসাবে তিন মাসের আমদানি দায় মেটানোর মত রিজার্ভ হাতে নেই বাংলাদেশ ব্যাংকের।
আইএমএফ ও কয়েকটি সংস্থার পাশাপাশি কোরিয়া থেকে আসা ঋণ এবং রেমিটেন্স মিলিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছিল, গত ২৭ জুন বাংলাদেশের গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৭.১৫ বিলিয়ন ডলার। বিপিএম৬ পদ্ধতিতে তা ২২ বিলিয়ন ডলার।
এর তিনদিন পরেই বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবেই রিজার্ভ কমলো ৩৪ কোটি ডলার।
তৃতীয় কিস্তি ছাড় পেতে জুন শেষে নিট রিজার্ভ ১৪.৭৬ বিলিয়ন ডলার রাখতে শর্ত দিয়েছে আইএমএফ। যা আগের শর্তে ছিল ২০.১০ বিলিয়ন ডলার। ঋণের অর্থ দিয়ে প্রথম বারের মতো আইএমএফ এর রিজার্ভ সংক্রান্ত শর্ত পরিপালন করতে পারলো সরকার।
নতুন শর্ত অনুযায়ী, আগামী সেপ্টেম্বর শেষে নিট রিজার্ভ ১৪.৮৮ ও ডিসেম্বর শেষে তা ১৫.৩০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে হবে বাংলাদেশকে।
সারাবাংলা/জিএস/এমও