Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কাউন্সিলর একরামুলকে হত্যার অভিযোগ পরিবারের


১ জুন ২০১৮ ১৭:৫৫

।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।

কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফে র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত কাউন্সিলর একরামুল হককে অন্যায়ভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী আয়েশা বেগম। তিনি বলেন, ‘২৬ মে রাতে একটি গোয়েন্দা সংস্থার মেজর পরিচয়ে আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে যায়। আমার স্বামী মোবাইলে আমার মেয়ে ও আমার সাথে কথা বলেন। এ সময় তার কণ্ঠে ছিল আতঙ্কের ছাপ। এরপর আমার মোবাইলটি সারাক্ষণ খোলা ছিল এবং রেকর্ড ছিল। ওই দিন রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চিৎকার ও গুলির শব্দ শুনে আমি ও আমার পরিবার আঁতকে উঠি। তখন বুঝতে বাকি থাকে না, আমার স্বামীকে অন্যায়ভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

আয়েশা বেগম বৃহস্পতিবার কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন। এ সময় তার দুই মেয়ে তাহিয়াত (১৪) ও নাহিয়ান (১১) এবং মেজু ভাই নজরুল ইসলামসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আয়েশা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী একরাম নিরপরাধ। ইয়াবা ব্যবসা তো দূরের কথা, কোনো ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সাথে তিনি চলাফেরা করেননি। বন্দুকযুদ্ধের নামে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে যে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারের কথা বলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ সাজানো।’

সংবাদ সম্মেলনে আয়েশা বেগম আরো বলেন, ‘বন্দুকের নলের মুখেও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একরামের শেষ বাক্য ছিল, আমি ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত না। ওই দিন রাত ১১টা বেজে যাওয়ার পরও তিনি ফিরে না আসায় আমার মেয়ে রাত ১১টা ১৩ মিনিটে তার বাবাকে ফোন করে। এ সময় তিনি কাঁদো কাঁদো কন্ঠে মেয়েকে বলেছিলেন মা আমি হ্নীলা যাচ্ছি। এরপর রাত ১১টা ১৪ মিনিটে আবার ফোন করলে তিনি বলেন, আমি ইউএনও অফিসে যাচ্ছি। এরপর রাত ১১টা ৩২ মিনিটে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন, কিন্তু কথা বলেননি। এ সময় ওপাশে অপরিচিত একটি কণ্ঠ শুনতে পাচ্ছিলাম। ওই ব্যক্তি জানতে চান, তাহলে তুমি জড়িত নও? উত্তরে আমার স্বামীর কণ্ঠে শুনতে পাই, না আমি জড়িত নই’। এরপর গুলির আওয়াজ ও আমার স্বামীর আর্তচিৎকার শুনতে পাই।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী ১২ বছর টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। যতটুকু জানি, তিনি সবসময় মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। একটি গোয়েন্দা সংস্থার রোষানলে পড়ে আমার স্বামীর নাম মাদক ব্যবসায়ীর তালিকায় উঠেছে। আমার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে টেকনাফ বর্ডার গার্ড পরিচালিত পাবলিক স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য। থানায় তার নামে কোনো মামলা ছিল না। তিনি একজন ন্যায়বান ব্যক্তি ও শিক্ষানুরাগী। নিজস্ব কোনো বাড়িঘর করতে পারেনি। এখনো পৈত্রিক বাড়ির একটি কক্ষে থাকেন। আমি আমার স্বামীর হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের বিভাগীয় বিচার দাবি করছি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার স্বামী হত্যার বিচার দাবি করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে অডিও রেকর্ডিংয়ের একটি ফাইল সাংবাদিকদের দেওয়া হয়। নিহত একরামের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ওই অডিও ক্লিপটিতে একরাম হত্যার ঘটনার সময়ে তার সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের কথোপকথন রেকর্ড রয়েছে।

সারাবাংলা/টিএম

** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/Facebook

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

শরৎ বাংলাদেশের কোমল স্নিগ্ধ এক ঋতু
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৪

সম্পর্কিত খবর