‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার পরিকল্পনা নেই’
৩ জুলাই ২০২৪ ১৯:০৭
সংসদ ভবন থেকে: জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বৎসর করার পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।
বুধবার (৩ জুলাই) পিরোজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. শামীম শাহনেওয়াজের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদে এ কথা জানান।
জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সাম্প্রতিক রির্পোটে দেখা যায়, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় বিভিন্ন স্তরে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের বয়স ও জেন্ডারভিত্তিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী কম বয়সী (২৩-২৫) সুপারিশকৃত প্রার্থীর সংখ্যা বেশি এবং বেশি বয়সী (২৯-এর ঊর্ধ্বে) সুপারিশকৃত প্রার্থীর কম (১.৭১%)।’
ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘সম্প্রতি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৫৭ বছর থেকে ৫৯ বছরে উন্নীত হওয়ায় বর্তমানে শূন্যপদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কমেছে। এ প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হলে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরি প্রার্থীদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে অধিকতর প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হতে পারে। এতে অনূর্ধ্ব ৩০ বছরের প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা), বিসিএস (কারিগরি শিক্ষা), বিসিএস (স্বাস্থ্য) এবং জুডিশিয়াল সার্ভিসে নিয়োগকালে উপজাতীয় প্রার্থীদের বয়সের উচ্চসীমা হবে ৩২ (বত্রিশ) বছর। এই তিনটি বিসিএস ক্যাডার ও জুডিশিয়াল সার্ভিস ছাড়া অবশিষ্ট সব বিসিএস ক্যাডারে নিয়োগকালে উপজাতীয় প্রার্থীদের বয়সের উচ্চসীমা ৩০ (ত্রিশ) বৎসর।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৯৮ সালের ২১ সেপ্টেম্বর বিসিএস ক্যাডারসহ সব নন-ক্যাডার পদে মুক্তিযোদ্ধা কোটার অন্তর্ভুক্ত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা/শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পুত্র-কন্যার ক্ষেত্রে এবং প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ (বত্রিশ) বছর নির্ধারণ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম