Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বিশ্বায়নের যুগে নিজেদের দরজা বন্ধ রাখতে পারি না’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩ জুলাই ২০২৪ ২২:৪৫

সংসদ ভবন থেকে: ভারতের সঙ্গে ট্রানজিটের সুবিধার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বায়নের যুগে নিজেদের দরজা বন্ধ করে রাখতে পারি না। বর্তমানে পৃথিবীটা গ্লোবাল ভিলেজ। একের অপরের ওপর নির্ভরশীল। ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ- এগুলো দরজা বন্ধ করে করা যায় না।

বুধবার (৩ জুলাই) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের ট্রান্স-এশিয়া হাইওয়ে, ট্রান্স-এশিয়া রেলের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। ভারতকে আমরা ট্রানজিট দিলাম কেন? এটা নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া। আমাদের ট্রানজিট তো আছেই। ত্রিপুরা থেকে বাস চলে আসে ঢাকায়, ঢাকা হয়ে কলকাতা পর্যন্ত তো যাচ্ছে। এতে ক্ষতিটা কী হচ্ছে। বরং আমরা রাস্তার ভাড়া পাচ্ছি। সুবিধা পাচ্ছে আমাদের দেশের মানুষ। অনেকে অর্থ উপার্জনও করছে।’

সংসদ নেতা বলেন, ‘সারা বিশ্বের সঙ্গে একটা যোগাযোগ হচ্ছে। আমরা নেপাল-ভুটানের সঙ্গে ট্রানজিট করেছি ভারতে। এটাতো কোনো একটা দেশ না, আঞ্চলিক ট্রানজিট সুবিধা এবং যোগাযোগ সুবিধার জন্য করা হয়েছে।’

টানা চার বারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নেপাল, ভুটান, ভারত, বাংলাদেশ- এই চারটি দেশ নিয়ে প্রতিটি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা, ট্রানজিট ব্যবস্থা করতে যাচ্ছি। নেপাল থেকে আমরা জলবিদ্যুৎ কেনা শুরু করতে যাচ্ছি। সেখানে গ্রিড লাইন করা, আমরা সেই চুক্তি করেছি, সেটা কার্যকরও করছি। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর যেসব রেলপথ, নৌ-পথ যোগাযোগ বন্ধ ছিল সেগুলো আমরা উন্মুক্ত করে দিচ্ছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভুটান থেকে একটি রাস্তা যাচ্ছে মিয়ানমার হয়ে থাইল্যান্ড পর্যন্ত। অথচ সেই রাস্তাটা যাচ্ছে বাংলাদেশকে বাইপাস করে। বিশ্বের প্রতিটি দেশের মধ্যে যে রোড হচ্ছে তা থেকে বিচ্ছিন্ন বাংলাদেশ। কেন আমরা বিচ্ছিন্ন থাকব। ভারত চাচ্ছিল ভুটান থেকে এই রাস্তাটি বাংলাদেশ হয়ে, ভারত হয়ে মিয়ানমার হয়ে থাইল্যান্ড যাবে। আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ সবকিছু তাতে কত সুবিধা হতো। সেটাও খালেদা জিয়া নাকচ করে দিয়েছিল। এই হলো অবস্থা। আমি প্রথমবার সরকারে এসে অনেকবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমরা যুক্ত হতে পারিনি।’

ভারত থেকে পাইপ লাইনে তেল নিয়ে আসার কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা আসামের রুমালিগড় থেকে পাইপলাইনে তেল নিয়ে এসেছি। পার্বতীপুর ডিপোতে সেই তেল আসছে। ক্ষতিটা কী হয়েছে। বরং আমরা কিন্তু সস্তায় তেল কিনতে পারছি। ওই অঞ্চলের মানুষের চাহিদা আমরা পূরণ করতে পারছি। উত্তরাঞ্চলে কোনো শিল্পায়ন হয়নি। এখন আমরা শিল্পায়নেও যেতে পারি। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রও আমরা করেছি।’

খালেদা জিয়া মিয়ানমার থেকে গ্যাস আনার সুযোগ নষ্ট করেছেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কী সমস্যা দেশের জন্য করেছে দেখেন- মিয়ানমারের গ্যাস ফিল্ডের গ্যাস ভারত, চীন, জাপান সবাই চাচ্ছে। এই গ্যাস বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতে গেলে আমরা একটা ভাগ পেতাম। তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামসহ ওই এলাকায় আমাদের গ্যাসের কোনো অভাবই হতো না। খালেদা জিয়া সেটা নিতে দেয়নি। কেন দেয়নি?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ সেই গ্যাস নিচ্ছে চীন। আর কোনো দেশতো নিতে পারছে না। আমরা সরকারে আসার পর কথা বলেছিলাম মিয়ানমারের সঙ্গে, আনতে পারি কি না। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। কারণ, তারা এটা অলরেডি চীনকে দিয়ে দিয়েছে।’

সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম

টপ নিউজ ট্রানজিট বিশ্বায়ন ভারত সরকার প্রধান


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ধানমন্ডি থেকে গ্রেফতার শাজাহান খান
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৪৫

সম্পর্কিত খবর