কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার ওপরে
৪ জুলাই ২০২৪ ১৪:৪৪
কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বন্যা কবলিতরা। চরাঞ্চলে ঘর-বাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গবাদি পশুসহ উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে অনেক পরিবার।
এদিকে জেলার বন্যা কবলিত এলাকায় প্লাবিত হয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে ৮৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। ব্রহ্মপুত্রের পানি হাতিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এসব নদ-নদীর অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের অন্তত ২৫ হাজার পরিবার। বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার নতুন জেগে উঠা চরের ঘর-বাড়ি প্রায় নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। এতে করে ঘর-বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে পরিবারগুলো।
উলিপুর উপজেলার পূর্ব বালাডোবা চরের বাসিন্দা আফজাল প্রামাণিক জানান, ঘরের প্রায় চাল পর্যন্ত পানি উঠে গেছে। থাকার কোনো উপায় নাই, তাই বউ বাচ্চা, গরু, ছাগল নিয়ে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছি। খুব কষ্টে দিন কাটছে।
অন্যদিকে তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলের ঘর-বাড়িসহ নিম্নাঞ্চলের কাঁচা -পাকা সড়ক। এতে যাতায়াতের চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষজন। এসব এলাকায় নৌকাই হয়ে উঠেছে একমাত্র যোগাযোগের ভরসা। তলিয়ে আছে এসব এলাকার বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত।
আগামী ২৪ ঘণ্টা ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানায়, জেলার বন্যা কবলিত মানুষের জন্য ১৭৬ মেট্রিক টন চাল ও ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা বিতরণ করা হচ্ছে।
সারাবাংলা/আইই