যুক্তরাজ্যের উপ-প্রধানমন্ত্রী হলেন ‘রেড কুইন’ অ্যাঞ্জেলা রেনার
৫ জুলাই ২০২৪ ২১:০০ | আপডেট: ৫ জুলাই ২০২৪ ২২:৩৯
যুক্তরাজ্যের নতুন উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অ্যাঞ্জেলা রেনারের নাম ঘোষণা করেছে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট। নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার তাকে নিয়োগ দিয়েছেন। অ্যাঞ্জেলা রেনার লেবার পার্টির বামধারার রাজনীতিবিদ। তাকে অনেকে লেবার পার্টির নতুন ‘রেড কুইন’ বলে থাকেন।
অ্যাঞ্জেলা রেনার উপ-প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র, আবাসন, সমতা ও কমিউনিটির মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন।
অ্যাঞ্জেলা রেনারকে উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়ে লেবার পার্টি ও সরকারে একটি ভারসাম্য আনলেন কিয়ের স্টারমার। স্টারমার নিজে এখন ডানঘেঁষা মধ্যপন্থি। তার নেতৃত্বে লেবার পার্টির বামধারা অনেকটাই দুর্বল বা নিষ্ক্রিয়। ২০২০ সালে অন্যান্য রেনারকে বামধারার অন্যান্য নেতাদের মতো দল থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন স্টারমার। কিন্তু তাতে তিনি সফল হননি।
রেনারের জন্ম ১৯৮০ সালে ইংল্যান্ডের স্টকপোর্টে। সেখানের একটি কাউন্সিল এস্টেটে তার বেড়ে ওঠা। গর্ভবতী হয়ে পড়ায় ১৬ বছর বয়সে কোনো সার্টিফিকেট ছাড়াই তাকে স্কুল ছাড়তে হয়।
আরও পড়ুন-
- কে এই স্টারমার, কী তার রাজনৈতিক নীতি
- ১০ ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বিদায় নিলেন ঋষি সুনাক
- টানা ৪র্থবারের মতো এমপি হলেন টিউলিপ সিদ্দিক
- কেন্দ্রফেরত জরিপ: লেবার পার্টির বিপুল জয়ের আভাস
- লেবার পার্টির ভূমিধস জয়, পরাজয় মেনে নিলেন ঋষি সুনাক
- কথা নয়, কাজ দিয়ে আশঙ্কা দূর করতে চান নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রেনার একবার বলেছিলেন, তাকে বলা হয়েছিল, তিনি কোনোদিন কিছু হতে পারবেন না।
প্রথম সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর রেনার পার্টটাইম কলেজে ভর্তি হন। পাশাপাশি তিনি স্থানীয় কাউন্সিলের একজন পরিচর্যা কর্মী হিসেবে কাজ করেন। সেখানে তিনি ইউনিয়নের প্রতিনিধি হিসেবে সামনের কাতারে চলে আসেন।
সেখান থেকে তিনি পুরোদমে একজন ইউনিয়ন এক্টিভিস্ট হয়ে ওঠেন। তিনি ২ লাখ কর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী নর্থ-ওয়েস্ট ইউনিসনের আহ্বায়ক হন। এর মাধ্যমে রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান গড়েন তিনি।
রেনার প্রথমবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য হন ২০১৫ সালে। সেবার তিনি অ্যাশটন-আন্ডার-লাইন নির্বাচনী এলাকার ১৮০ বছরের ইতিহাসে প্রথম নারী এমপি হয়েছিলেন।
২০২০ সালে লেবার পার্টির ডেপুটি লিডার হিসাবে নির্বাচিত হন রেনার। কিন্তু স্থানীয় নির্বাচনে খারাপ ফলাফলের কারণে তাকে পার্টির চেয়ার থেকে বরখাস্ত করা হয়।
কিয়ের স্টারমার লেবার পার্টির প্রধান হয়ে বামধারার নেতাদের সরানোর চেষ্টা করেন। জেরেমি করবিনের মতো বর্ষীয়ান নেতাদের দল থেকে বের করে দিতে সক্ষমও হন তিনি। কিন্তু রেনারকে পদচ্যুত করার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত রেনার ছায়া মন্ত্রিপরিষদে দায়িত্ব পান, সেইসঙ্গে ভবিষ্যতের কাজের রূপরেখা তৈরির জন্য দায়িত্ব দিয়ে তার জন্য ছায়া সেক্রেটারি হিসেবে নতুন একটি পদ তৈরি করা হয়।
সারাবাংলা/আইই