বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ব্যাটার ও জাতীয় দলের লজিস্টিকস ম্যানেজার নাফিস ইকবাল ব্রেন স্ট্রোক করে হাসপাতালে ভর্তি। মাথাব্যাথা থেকে অসুস্থতার পর স্ট্রোক করেন নাফিস। চট্টগ্রামে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অবস্থার উন্নতি না হলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তড়িঘড়ি করে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয় তাকে। নাফিস ভর্তি আছেন বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন, ভালো আছেন নাফিস। অবস্থা এর চেয়ে খারাপ না হলে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবেন তিনি।
নাফিসের সর্বশেষ অবস্থা জানাতে গিয়ে দেবাশীষ বলেন, ‘মস্তিস্কের ভেনাস (শিরা) সিস্টেমে রক্ত জমাট বেঁধে আছে। এখন স্থিতিশীল আছে। যে দিকগুলো দেখা হয় সেগুলো ভালো আছে। চিকিৎসকর আশা করছেন কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।’
অবস্থার উন্নতি হলে আগামীকাল নাফিসকে ওয়ার্ডে নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন দেবাশীষ, ‘এসব ক্ষেত্রে সাধারণত প্রথম দুই-তিন দিন পর্যবেক্ষণে রাখতে হয়। আজকে রাতটা এসডি ইউনিটে থাকবে। কালকে যদি সিম্পটম ভালো হয় তাকে ওয়ার্ডে নেওয়া হবে। কিন্তু পর্যবেক্ষণে আমার মনে হয় বেশ কয়েক সপ্তাহ থাকতে হবে।’
‘বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুসারে সমস্যা যদি আরও খারাপের দিকে না যায় তাহলে পুরোপুরি সুস্থ হবে।’- যোগ করেছেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক।
এদিকে, নাফিসকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। একটা সময় জাতীয় দিয়ে একসঙ্গে খেলেছেন মাশরাফি-নাফিস। পুরনো বন্ধু তারা দুজন।
নাফিসকে দেখে মাশরাফি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘এখন আবার ডাক্তার আসবে, যা দেখেছি আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। যা দেখেছি সো ফার ভালো, এনজিওগ্রাম করছে ব্রেইনে। এর আগে বল লাগার কারণে ওর একটা প্লেট ছিল চোখে, সেজন্য এমআরআই করতে পারিনি। ব্রেন এনজিওগ্রাম সম্ভবত ওটা করেছে। এখন ভালো আছে।’
বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে ১১টি টেস্ট ও ১৬টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন নাফিস। বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খানের ভাইয়ের ছেলে ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের বড় ভাই নাফিস।