গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ৭০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ
৬ জুলাই ২০২৪ ০৮:৫০
গাইবান্ধা: গাইবান্ধার বন্যা পবিস্থিতির অবনতি হয়েছে। টানা ভারী বর্ষণ ও উজান নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ৮৮ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নদীর তীরবর্তী এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে হাজারও মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তবে তিস্তা ও করতোয়া নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বিপৎসীমার উপরে থাকায় ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত সদর উপজেলার মোল্লারচর, কামারজানি, ঘাগোয়া, ফুলছড়ির ফজলুপুর, এরেন্ডাবাড়ি এলাকায় প্লাবিত হতে শুরু করেছে। পানিবৃদ্ধির ফলে নিচু এলাকার ঘরবাড়িগুলোতে পানি উঠে প্লাাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এসব এলাকার পানিবন্দী মানুষরা গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ছেন। অন্যদিকে তিস্তার পানি আবারও বাড়তে থাকায় সুন্দরগঞ্জের হরিপুর, কাপাসিয়া, তারাপুরের এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে।
এদিকে সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ উল্যা এলাকায় বাঁধের অন্তত ৩০ ফুট এলাকা ধসে যায়। এতে ভরতখালী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকাসহ ঘুড়িদহ, হলদিয়া, জুমারবাড়ী ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি মৌজা প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত এলাকার কমপক্ষে সাড়ে ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার বিস্তীর্ণ জমির পাট, কাউন, তিল ও শাকসবজিসহ বর্ষাকালীন ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। পরিবারের শিশু, বৃদ্ধ ও গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে বন্যা কবলিতরা।
বন্যাকবলিত এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সদর উপজেলার ১৭টি, ফুলছড়ি উপজেলার ১৪টি সাঘাটা উপজেলার ২১টি এবং সুন্দরগঞ্জ ১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছেন। এ ছাড়া ওই এলাকায় ৭টি মাধ্যমিক ও ৩ মাদ্রাসা পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানান, উজানে ঢল অব্যাহত থাকায় ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, তিস্তাঘাঘট, করতোয়া নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরইমধ্যে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সারাবাংলা/একে