Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তিস্তার পানি কই, মানুষ জানতে চায়: বি চৌধুরী


১ জুন ২০১৮ ২২:০৮

।।সারাবাংলা ডেস্ক।।

ঢাকা : প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর সম্পর্কে বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, আপনি বড় গলায় বলেছেন, ভারতকে যা দিয়েছি, সারাজীবন মনে রাখবে। সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে, কী দিয়েছেন? আপনি যখন দিয়েছেন, আপনিই তো জানেন, আর ভারত জানে, আমরা জানি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘কী কী নিলাম, এটা তো শোনা যায় না। তিস্তার পানি কই? মানুষ তো জানতে চায়।’

রাজধানীর পুরানা পল্টনের একটি হোটেলে আজ শুক্রবার (১ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ সব কথা বলেন। বিকল্প স্বেচ্ছাসেবকধারার উদ্যোগে এ আলোচনা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে নিজের নাম বিকৃত করা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমার নাম বদরুদ্দোজা। এর অর্থ হচ্ছে, ঘোর অন্ধকারে উজ্জ্বল পূর্ণ চন্দ্র। এই নামটিকে বিকৃত করে (অমুক কাকা) বলা সমীচীন হয়নি। এই নামটিকে ছোট করা উচিৎ না।’

তিনি বলেন, ‘বদরুদ্দোজা নামটি আমাদের প্রিয় রাসুলের একটি সুন্দর পদবি। এই নামটি আমার নানা আমার জন্য রেখেছিলেন। পবিত্র কোরআনুল করিমে নাম বিকৃতির বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এটা স্মরণে রাখলে কৃতজ্ঞ থাকব। প্রধানমন্ত্রী, আপনি বয়সে আমার চেয়ে ছোট। তাই নাম বিকৃত করবেন না। জনগণও এটা পছন্দ করে না।’

ভারত সফর নিয়ে গত বুধবার (৩০ মে) গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে ‘বদু কাকা’ বলে সম্বোধন করেছিলেন।

নতুন রাজনৈতিক জোট যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন কথা বলেছেন। শুধু আওয়ামী লীগের দাবিকৃত (পরবর্তী সময়ে আমার সমর্থিত) তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাস করার প্রয়োজনে তাড়াহুড়া করে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তা না হলে দেশে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হতো। ওই সময়ে আমার দল বিএনপি নির্বাচনকে পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার জন্য ব্যবহার করে নাই।’

বিজ্ঞাপন

ওই বিল পাস করার চার মাস পরেই সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ছিল অসম্পূর্ণ, প্রশ্নবিদ্ধ এবং এটি অসংখ্য বিনা ভোটের সংসদ সদস্য সৃষ্টি করেছে। ওই নির্বাচনের ওপর ভিত্তি করে বর্তমান সরকার পাঁচ বছর কাটিয়ে দিল। বলা হচ্ছে, জাতীয় প্রয়োজনে এটা করতে হয়েছে। কিন্তু চার বছর পার হলেও নির্বাচন দেওয়া হয়নি।’

সংসদের বিরোধী দলের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘জামাই আদরের বিরোধী দল এটা। অ্যাঁ, মুরগির রানটা দাও, রুই মাছের মাথাটা দাও। খালি সরকারকে তেলই মারছে বিরোধী দল। এগুলো ঠিক না। আমরা বাংলাদেশে আইনের শাসন চাই।’

আলোচনা সভায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হলেও রাজনৈতিক শিষ্টাচার নেই তার মধ্যে। এমন তো হওয়ার কথা না। দেশের জনগণ পরিবর্তন চায়, দুর্নীতি চায় না। তারা চায় সুন্দর বাংলাদেশ।’

 আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী। এতে সভাপতিত্ব করেন বিকল্প স্বেচ্ছাসেবকধারা বাংলাদেশের সভাপতি বি এম নিজাম উদ্দিন।

সারাবাংলা/একে

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর