Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে ২২ সমঝোতা, এজেন্ডায় নেই তিস্তা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৭ জুলাই ২০২৪ ১৮:৪৫

২০১৯ সালের চীন সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের করমর্দন। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দুবার ভারত সফরের পর এবার চীন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাশাপাশি ভূরাজনীতি ও দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকটের বাস্তবতায় বাংলাদেশের জন্যে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে এই সফরকে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এই সফরে ২২টি ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হবে। তবে সফরের আলোচ্যসূচিতে নেই তিস্তা।

রোববার (৭ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর নিয়ে ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক বহুমাত্রিক। একক দেশ হিসেবে চীনের কাছ থেকেই বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি করে। গত কয়েক বছর ধরে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রেও চীন বাংলাদেশের বিলিয়ন ডলার ক্লাবের সদস্য। তাই প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে অগ্রাধিকার হবে বাংলাদেশের উন্নয়ন।

বিজ্ঞাপন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (৮ জুলাই) চীন সফরে যাবেন। ১০ জুলাই সফরের তৃতীয় দিনে প্রধানমন্ত্রী গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রিমিয়ার অব দ্য স্টেট কাউন্সিল (প্রধানমন্ত্রী) লি ছিয়াংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সাক্ষাতের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানানো হবে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। একই স্থানে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলসহ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন তারা। এরপর দুই দেশের সরকারপ্রধানের উপস্থিতিতে ২০-২২টির মতো সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। ওই সময় কিছু প্রকল্প উদ্বোধনের ঘোষণা দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন- বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কেও ‘ইস্যু’ ভারত, কূটনৈতিক ভারসাম্যের তাগিদ

বিজ্ঞাপন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাত, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল অর্থনীতি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি খাতে সহায়তা, ষষ্ঠ ও নবম বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ নির্মাণ, বাংলাদেশ হতে কৃষিপণ্য রফতানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পিপল-টু-পিপল কানেকটিভিটি প্রভৃতি বিষয়ে ২২টি সমঝোতা সই হবে। তবে প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফরে কোনো চুক্তি হচ্ছে না।

তিস্তা প্রসঙ্গও আলোচনার সূচিতে নেই বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ভারত সফরের সময় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের একটি কারিগরি দলের বাংলাদেশে এসে আমাদের সঙ্গে বসার কথা হয়েছে। এ সফরেও যদি চীন আলোচনায় নিয়ে আসে, আমরা আলোচনা করব। আলোচনায় অসুবিধা নেই।

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর নিয়ে রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: পিআইডি

গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফের দায়িত্ব গ্রহণের পর শেখ হাসিনাকে চীনের পক্ষ থেকে সরকারি সফরের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এই সফর জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের অবকাঠামোগত ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হিসেবে কাজ করতে চীন অঙ্গীকারাবদ্ধ। বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য, আর্থিক সহায়তা ও বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে বাংলাদেশ চীনের সহায়তা কামনা করবে। একই সঙ্গে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে চীনের বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ চীনের প্রতি সমর্থন দিয়ে যাবে।

২০১৪ সালের জানুয়ারিতে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠনের পর ওই বছরের জুনে চীন সফর করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠনের পরও ২০১৯ সালের জুলাইয়ে তিনি চীন সফর করেছিলেন। পাঁচ বছর পর ফের চীন সফরে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।

সারাবাংলা/জেআর/টিআর

চীন সফর পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর হাছান মাহমুদ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর