যত্রতত্র রিসোর্টে সাজেকের সৌন্দর্য নষ্ট হয়েছে: দীপংকর তালুকদার
৭ জুলাই ২০২৪ ২০:৪১
রাঙ্গামাটি: দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য সাজেকের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার পেছনে যত্রযত্র রিসোর্ট গড়ে ওঠাকে দায়ী করেছেন পার্বত্য রাঙ্গামাটি আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এই সভাপতি বলেন, ‘যত্রতত্র রিসোর্ট-হোটেল নির্মাণের কারণে সাজেকের বিউটি বিনষ্ট হয়ে গেছে। যৎকিঞ্চিৎ যেটুকু আছে, সেটাও সেখানে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছে।’
রোববার (৭ জুলাই) সকালে রাঙ্গামাটিতে এক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ‘বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে রাঙ্গামাটির আসামবস্তি-কাপ্তাই সংযোগ সড়কের বড়াদম ‘লাভ পয়েন্ট’ এলাকায় এই যৌথ কর্মসূচির আয়োজন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বন বিভাগ।
রাঙ্গামাটির আসামবস্তি-কাপ্তাই সংযোগ সড়ক প্রসঙ্গে দীপংকর তালুকদার বলেন, ‘এই জায়গায় পরিকল্পিতভাবে কেউ যদি রিসোর্ট করতে চায়, আপত্তি নেই। কিন্তু এমন জায়গায় করতে পারবে না যেখানে করলে সৌন্দর্য বিঘ্নিত হয়। এটা কঠোরভাবে আমাদের রক্ষা করতে হবে।’
বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব তুলে ধরে এই সংসদ সদস্য বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষরোপণের কোনো বিকল্প নেই। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা ও দুর্যোগ মোকাবিলায় সবাইকে বৃক্ষরোপণে এগিয়ে আসতে হবে। শুধু বৃক্ষরোপণ করলেই হবে না, বৃক্ষের রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যা করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
কর্মসূচির শুরুতে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দুদক রাঙ্গামাটি সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক জাহিদ কালাম। সেনাবাহিনীর রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সোহেল আহমেদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, সিভিল সার্জন ডা. নূয়েন খীসা, পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ ও ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ড. জাহিদুর রহমান মিয়া, পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের ডিএফও মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির রাঙ্গামাটির সভাপতি মো. ওমর ফারুকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে রাঙ্গামাটির আসামবস্তি-কাপ্তাই সংযোগ সড়কের পাশে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষরোপণ করা হয়। সড়কের শোভাবর্ধনকারী সৃজিত বৃক্ষের মধ্যে রয়েছে সোনালু, বন সোনালু, বৌদ্ধ নারিকেল প্রভৃতি।
সারাবাংলা/টিআর