যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হামাস ইসরায়েলের জবাবের অপেক্ষায়
৮ জুলাই ২০২৪ ০১:৪১
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়ে এখন ইসরায়েলের জবাবের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস। ফিলিস্তিনি সশস্ত্র এই সংগঠনটি বলছে, পাঁচ দিন আগে তারা গাজায় ৯ মাস ধরে চলমান যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ মেনে নিয়েছে।
রোববার (৭ জুলাই) হামাসের দুই কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন রয়টার্সকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, আমরা মধ্যস্থতাকারীদের আমাদের জবাব জানিয়েছি। এখন আমরা (অবৈধভাবে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড) অধিগ্রহণকারীদের (ইসরায়েল) প্রতিক্রিয়া শোনার অপেক্ষায় আছি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মে মাসের শেষের দিকে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে যুদ্ধ বন্ধের জন্য তিন ধাপের পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। চুক্তি বাস্তবায়নে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে কাতার ও মিসর। এই চুক্তির লক্ষ্য যুদ্ধের অবসান ঘটানো এবং হামাসের হাতে বন্দি থাকা প্রায় ১২০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্ত করা।
যুদ্ধবিরতির আলোচনার বিষয়ে অবগত আরেক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরায়েল এখন ওই প্রস্তাব দিয়ে কাতার সরকারের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করছে।
নাম না প্রকাশের শর্তে এই কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, আমরা হামাসের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেছি। কয়েকদিনের মধ্যেই আমাদের কাছে ইসরায়েল জবাব পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, এ সপ্তাহ ধরেই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে নানা ধরনের দরকষাকষি চলতে পারে। তবে কবে নাগাদ এ বিষয়ে ইসরায়েল সিদ্ধান্ত নেবে, সে রকম সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নিয়ে তিনি কিছু বলেননি।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গাজার নিয়ন্ত্রণকারী হামাস আলোচনার একটি মূল দাবি থেকে সরে এসেছে। এতদিন তারা দাবি করে আসছিল, চুক্তিতে সই করার আগে ইসরায়েলকে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির অঙ্গীকার দিতে হবে। তবে হামাসের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, এখন তারা যুদ্ধবিরতির পর ছয় সপ্তাহব্যাপী প্রথম ধাপে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে এই লক্ষ্য অর্জনে সম্মত।
দুপক্ষের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সংশ্লিষ্ট এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে বৃহত্তর পরিসরে একটি চুক্তি হতে পারে। আর সেটি হলে যুদ্ধের অবসান ঘটবে।
সারাবাংলা/টিআর