‘৩০ শতাংশ জনবলে চলছে বিজেএমসি’
৮ জুলাই ২০২৪ ২০:৪৮
ঢাকা: মাত্র ৩০ শতাংশ জনবল দিয়ে চলছে বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন (বিজেএমসি)। সংস্থাটির অনুমোদিত ৭ হাজার ৯৫৩টি পদে বর্তমানে কর্মরত আছেন ২ হাজার ৩৮০ জন। বিজেএমসি’র আওতাধীন অধিকাংশ মিল বন্ধ থাকায় মিলের জমি ও যন্ত্রপাতি রক্ষায় রোস্টার ভিত্তিতে ওই সব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করছেন।
সোমবার (৮ জুলাই) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি’র বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। কমিটির সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, নুরুজ্জামান আহমেদ, মো. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, আনোয়ারুল আশরাফ খান ও নাজমা আক্তার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে বিজেএমসি’র সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে কমিটির পক্ষ থেকে বিজেএমসির মালিকানাধীন যে সব মিল লিজ দেওয়া হয়েছে সেগুলো লাভজনক কিনা, সংস্থাটি সিকিউরিটাইজ করে বন্ড ও শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে সরকারের কোনো লাভজনক কাজে ব্যবহার কিংবা বিজেএমসির কোনো শিল্প কারখানা আধুনিকায়ন করার কাজে লাগানো যায় কিনা, তা একটি বিশেষজ্ঞ টিমের মাধ্যমে পরীক্ষা করতে প্রয়োজনীয় পদেক্ষপ গ্রহণের জন্য কমিটি কর্তৃক সংশ্লিষ্টদের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত হওয়া বিজেএমসির যে তিনটি মিলস এখনো লিজ দেওয়া হয়নি সেগুলোকে ইকোনোমিক জোন কিংবা হাইটেক পার্কে প্রতিস্থাপন করা যায় কিনা তা নিরূপণে একটি বিশেষজ্ঞ টিমের মাধ্যমে পর্যালোচনার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিজেএমসির বিগত ৫ বছরের একীভূত স্থিতিপত্র, আয়-ব্যয় হিসাব ও লাভ-লোকসান হিসাব এবং সর্বশেষ হিসাব আর্থিক ও কনফিডেনশিয়াল ম্যানেজমেন্টের ওপর সিএজি কার্যালয় হতে যে সব মতামত দেওয়া হয়েছে তা বিশ্লেষণ করে সুনির্দিষ্ট জবাব প্রদানের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে বিজেএমসি’র ওপর সিএজি কর্তৃক প্রণীত ও সংসদে পেশকৃত অডিট আপত্তির বিষয় আলোচনা করে কয়েকটি আপত্তি নিষ্পত্তি করা হয় এবং অবশিষ্ট অডিট আপত্তিসমূহ ৯০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির সুপারিশ করা হয়।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে