বঙ্গবন্ধুকন্যা গোলামির চুক্তি করেননি: খাদ্যমন্ত্রী
৮ জুলাই ২০২৪ ২১:২৬
নওগাঁ: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ট্রানজিট এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের যোগাযোগ বাড়ায়। বিশ্বায়নের যুগে একা থাকলে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে না। দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনা কাজ করেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা গোলামির চুক্তি করেননি। বিএনপি মিথ্যা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে।
সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে নওগাঁর পোরশা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ। এ ক্ষুধাকে জয় করতে কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। ধান রোপণ ও ধান কাটায় প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের ধান কাটার সময় শ্রমিক সংকট হয়। হাজার বারশো টাকা দিলেও শ্রমিক মেলে না। মেশিনের মাধ্যমে সহজেই অল্প সময়ে অধিক জমির ফসল তোলা সম্ভব। কৃষক ধীরে ধীরে প্রযুক্তিগত সুবিধা নিতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকের কাছে প্রযুক্তি পৌঁছে দিচ্ছেন। কোনোটা বিনামূল্যে কোনোটা ভর্তুকি মূল্যে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দেশের কোথাও এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত না থাকে। সে কারণে চাষাবাদ বাড়াতে হবে। ঘরের আশপাশের জমিতেও মরিচ-পেঁয়াজ চাষ করলে পরিবারের খরচ কমবে। দেশের সামগ্রিক উৎপাদনে এটার গুরুত্ব আছে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা উপবৃত্তি দিয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ছেলেমেয়েদের পড়ালেখায় উৎসাহিত করছেন। তিনি পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে একই প্লাটফর্মে নিয়ে আসতে চান। উন্নয়ন করতে চান সবার। উন্নয়ন থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হন সেটা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।
বর্তমান সরকার কৃষকবান্ধব উল্লেখ করে সাধন মজুমদার বলেন, চলমান বোরো সংগ্রহে সরকার চালের দাম এক টাকা বাড়িয়েছে কিন্তু ধানের দাম দুই টাকা বাড়িয়েছে। ভোক্তা ও কৃষকের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়েই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে বলে উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
পোরশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফ আদনানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিয়ার রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান খোকন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।
সারাবাংলা/এনইউ