১৭ জুলাই শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক সি ফুড শো
৮ জুলাই ২০২৪ ২১:৩০
ঢাকা: আগামী ১৭ জুলাই থেকে ১৯ জুলাই ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকোয়াকালচার অ্যান্ড সি ফুড শো অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৮ জুলাই প্রধান অতিথি হিসেবে শো-এর উদ্বোধন করবেন।
রোববার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকার বনানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকোয়াকালচার অ্যান্ড সি ফুড শো উপলক্ষ্যে আয়োজিত ইনফরমেশন ডেসিমিনেশন প্রোগাম এ প্রধান অতিথির বক্তব্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান এসব তথ্য জানান। সোমবার (৮ জুলাই) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর ও মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের অ্যাম্বাসেডর, হাইকমিশনার ও বিদেশি মিশন প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকুয়াকালচার অ্যান্ড সি ফুড শো আয়োজনটি আমাদের দেশের অর্থনীতি ও খাদ্য নিরাপত্তার অত্যাবশ্যকীয় উপাদান অ্যাকোয়াকালচার ও সীফুড খাতকে এগিয়ে নিতে আমাদের সম্মিলিত অগ্রযাত্রার একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে। এই আয়োজন সব অংশীজনের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।’
এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য মৎস্য খাতের গুরুত্ব অনুধাবন করে নানা দূরদর্শী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে এক ভাষণে বলেছিলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষ, আমার মাটি আছে, আমার সোনার বাংলা আছে, আমার পাট আছে, আমার মাছ আছে, আমার লাইভস্টক আছে। যদি ডেভেলপ করতে পারি ইনশাল্লাহ, এই দিন আমাদের থাকবে না। তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী দিক-নির্দেশনায় সময়োপযোগী নীতি ও পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের ফলে বর্তমানে মোট মাছের উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ মেট্রিক টন।’
২০৩০ সালের মধ্যে অ্যাকুয়াকালচার ও সামুদ্রিক খাবার রপ্তানি ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছানোর লক্ষ্য নিয়ে একোয়াকালচারসহ সামুদ্রিক মাছ উৎপাদনের জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করার তিনি এসময় আহবান জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সবসময়ই চ্যালেঞ্জ নিয়েছে এবং চ্যালেঞ্জে জয়লাভ করেছে। এক্ষেত্রেও বাংলাদেশ জয়লাভ করতে সক্ষম হবে।’
উল্লেখ্য, তিন দিনব্যাপী এ আয়োজনে একোয়াকালচার ও সি ফুড সম্পর্কিত বিভিন্ন সেশন অনুষ্ঠিত হবে যেখানে বাংলাদেশের মৎস্য সেক্টরের সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। এই আয়োজনে ৩৫টি দেশের ১০০টি স্টল থাকবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা), মৎস্য অধিদপ্তর, সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া লিমিটেড বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকুয়াকালচার অ্যান্ড সি ফুড শো ২০২৪ এর আয়োজন করছে। এ আয়োজনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টেশন এসোসিয়েশন সহযোগিতা করছে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/একে