বিধবার ২ কোটি টাকার জমি দালালের কবজায়
৯ জুলাই ২০২৪ ১৮:৩৭
বাগেরহাট: প্রতারণা করে বিধবা এক নারীর এক একর ২০ শতক কৃষি জমি নিজেদের কব্জায় দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাগেরহাটের মোংলার জমির দালাল ফরাজি আলম ও গাউছ ফকিরের বিরুদ্ধে। ওই জমি বিক্রি করে দেওয়ার নামে এই দুই দালাল কৌশলে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে নিজেদের নামে রেজিস্ট্রি করে নেন।
মোংলা উপজেলার বুড়িডাঙ্গা ও কাপালির মাঠ এলাকার জমি ফিরে পেতে আদালতের স্মরণাপন্ন হন বিধবা নারী রেনুয়ারা বেগম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নানাভাবে প্রাণনাশের হুমকি দেয় ওই দালাল চক্রটি।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুর ১২টায় মোংলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী রেনুয়ারা বেগমের মেয়ে নাসরুম আলম এ অভিযোগ করেন।
সাংবাদিকদের এসময় তিনি জানান, তার মায়ের নামে প্রয়াত বাবা পেয়ার আহম্মেদের দেওয়া ১ একর ২০ শতক কৃষি জমি দীর্ঘদিন দিগরাজ এলাকায় পড়ে থাকে। পরে টাকার প্রয়োজন হলে দিগরাজ এলাকার বুড়িডাঙ্গা ও কাপালির মাঠ মৌজার এই জমিটি বিক্রির উদ্যেগ নেয় তার মা। এ জন্য এলাকার জমি বিক্রির দালাল ফরাজি আলম ওরফে হাজী আলম এবং গাউছ ফকিরের সঙ্গে তার মা কথা বলেন। পরে তার মা রেনুয়ারা বেগম তাদের কথামতো গত ২০২৩ সালের ১১ ও ২৮ ডিসেম্বর ৩১২০ এবং ৩২৫৭ দাগের জমিটি সেল পাওয়ার রেজিস্ট্রি করে দেয়।
এই দুই দালাল তার মায়ের সরলতার সুযোগ নিয়ে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র করে নিজেদের নামে ওই জমিটি দলিল করে নেয়। প্রতারণার এই খবর জানতে পেরে পরে তার মা বাগেরহাটের যুগ্ম জেলা জজ আদালতে সেল পাওয়ার বাতিলের দেওয়ানি ৯/২৪ মামলা করেন। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন দুই প্রতারক ফরাজি আলম ও গাউছ ফকির। বিভিন্নভাবে তার মাকে প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী রেনুয়ারা বেগমের মেয়ে নাসরুম আলম।
এ বিষয়ে গাউছ ফকিরের বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও রিসিভ করেননি। তবে অপরজন ফরাজি আলম বলেন, ‘আমার মাধ্যমে রেনুয়ারা বেগম জনৈক মাহমুদ হাসান ও সারাফাত হাসান শাকিল নামে দুই ব্যক্তিকে এই জমির সেল পাওয়ার দেওয়া হয়। এই দুই ব্যক্তির কাছ থেকে আমি সাড়ে ৫ শতক, গাউছ ফকির ৫১ শতক এবং সেলিম মোল্লা ৫ শতক জমি কেনেন। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা মিথ্যা।’
সারাবাংলা/একে