চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার একটি কেন্দ্রে পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্র প্রশ্নের জায়গায় শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের বিজয় স্মরণী ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, রুটিন অনুযায়ী পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্রের পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা তাদের হাতে পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন ধরিয়ে দেন। প্রশ্ন পাওয়ার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের থেকে প্রশ্নপত্রটি পুনরায় সংগ্রহ করে পরীক্ষা স্থগিত করে দেওয়া হয়। সকাল ১০ টায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুই ঘণ্টা পর বেলা ১২ টায় প্রথম পত্রের প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়।
ঘটনার পর পরই কেন্দ্রে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা কে এম রফিকুল ইসলাম। এ ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি ও সীতাকুণ্ড নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সাদিউর রহমান জাদিদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ট্রেজারি থেকে প্রত্যেক কেন্দ্র সচিব পরীক্ষার আগের দিন রাতে প্রশ্ন সংগ্রহ করে থাকেন। পরীক্ষার তিন দিন আগেই একটি খামে পরীক্ষার কোড পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানেই মূলত ভুল হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরীক্ষার কোড ১৭৪ এর জায়গায় ১৭৫ দেওয়া হয়েছিল। এ কারণে ওই কেন্দ্রে পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্রের জায়গায় দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন চলে গেছে। এখন পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন যেহেতু শিক্ষার্থীরা দেখে ফেলেছে এটা নিয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে সেটা নিয়ে আমরা বসব। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন থেকে আমাকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।’
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুজিব রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘একটি ছোট ভুল হয়েছে। যিনি কেন্দ্র সচিব থাকেন এটা তার দায়িত্বের অবহেলা। আমরা জানার পর পরই শিক্ষার্থীদের প্রথম পত্রের প্রশ্ন সরবরাহ করে পরীক্ষা নিয়েছি। ভুলে কেন্দ্রে সরবরাহ করা পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন দিয়ে আর পরীক্ষা হবে না। বিকল্প প্রশ্নে পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা রুটিন অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটাকে প্রশ্নফাঁস বলা যাবে না। কারণ এটা ইচ্ছা করে করা হয়নি। ভুলে হয়েছে। আর এমন ভুলের জন্য বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে জানতে বিজয় স্মরণী কলেজের অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব শিব শংকর শীলের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল ধরেননি।