জাতীয়করণকৃত ৪৪ জনকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দিতে নির্দেশ
১১ জুলাই ২০২৪ ১৭:৫৫
ঢাকা: দেশের জাতীয়করণকৃত বিভিন্ন কলেজের ৪৪ জন প্রভাষককে ষষ্ঠ গ্রেডে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ের কপি পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
পরে আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, ‘সারাদেশে ২০১৮ সালের পরে বিভিন্ন কলেজকে জাতীয়করণ করা হয়। তখন ওই কলেজগুলোতে কর্মরত প্রভাষকদের চাকরি আত্তীকরণ বিধিমালার আলোকে আত্তীকরণ করা হয়। কিন্তু আত্তীকরণের পরে দেখা যায়, যেসব প্রভাষক জাতীয়করণের আগে সপ্তম গ্রেডে বেতন ভাতা পেতেন তাদের নবম গ্রেডে বেতন-ভাতা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি ২০১৮ সালের পর থেকে তাদের কাছে বাড়তি বেতন ফেরত চাওয়া হয়। এই আদেশটি অত্যন্ত বৈষম্যমূলক ছিল।’
এরপর ফরিদ আহমেদ, বশির আহমেদ, সাইফুল আজম, নুরুল মমিন, শাহজালাল, বনানী দত্ত, সেলিনা বেগম, সেলিনা আক্তার শামীমা নার্গিস, মো. সিরাজ উদ্দিন, মোহাম্মদ ইমাম হোসাইন, শাহাদাত হোসেনসহ ৪৪ প্রভাষক হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। পরে সম্পূরক এক আবেদনে প্রভাষকরা আত্তীকরণ বিধিমালার আলোকে পূর্ববতী ৫০ শতাংশ চাকরিকাল গণনা করে পরবর্তী পদ সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতিসহ ষষ্ঠ গ্রেড প্রদানের নির্দেশনা চাওয়া হয়। আদালত শুনানি শেষে রুল জারি করেন।
ওই রুল নিষ্পত্তি করে আজ ৪৪ জন প্রভাষককে ষষ্ঠ গ্রেডসহ সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, ‘রায়ের ফলে রিটকারীগণের কাছ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অর্থ ফেরত নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বরং তাদের ষষ্ঠ গ্রেডসহ সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি প্রদান করতে হবে। আমি আশা করব, কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
সারাবাংলা/কেআইএফ/একে