বৃষ্টি-বাধা উপেক্ষা করে বশেমুরবিপ্রবিতে বাংলা ব্লকেড
১১ জুলাই ২০২৪ ২১:২৫
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে গোপালগঞ্জ শহর-ঘোনাপাড়া বাইপাস সড়ক অবরোধ করে সপ্তম দিনের আন্দোলনে করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। ভারী বৃষ্টি উপেক্ষা করেই তারা আন্দোলন চালিয়ে গেছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় বাইপাস সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। ভারী বৃষ্টি উপেক্ষা করেই তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে কোটাবিরোধী আন্দোলনে সামিল হন। এ সময় তারা ফটকের সামনে গোপালগঞ্জ শহর-ঘোনাপাড়া বাইপাস সড়ক অবরোধ করেন।
এদিকে গতকাল বুধবার ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ও গোপালগঞ্জ-ঘোনাপাড়া সড়ক অবরোধ করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। ফলে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে (বাইপাস সড়ক) ও ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে পুলিশকে সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে। তবে কোনো সহিংসতা বা অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
সড়ক অবরোধের সময় বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন শিক্ষার্থীরা। তারা ফাঁকা রাস্তায় ফুটবলও খেলেন। তবে অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবহান চলার সুযোগ করে দেন তারা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বহনকারী বাসও চলেনি এই সড়কে।
সারাদেশে চলমান কোটা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছেন বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা। সরকারি চাকরির সব গ্রেডে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠী, আদিবাসী, নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা রেখে বিদ্যমান পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কারের দাবি তাদের। সরকারের পক্ষ থেকে কমিশন গঠন করে কোটা পদ্ধতি নিয়ে স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের দাবি একটাই— অযৌক্তিক ৫৬ শতাংশ কোটা বহাল না রেখে সুবিধাবঞ্চিত-অনগ্রসর ও প্রতিবন্ধীদের জন্য যৌক্তিক হারে কোটা বরাদ্দ করা হোক। সঙ্গতিপূর্ণ মাত্রায় কোটা সংস্কার করে মেধাবীদের দেশ গড়ার সুযোগ করে দেওয়া হোক।
এর আগে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের মধ্যেই বুধবার সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। এ আদেশের ফলে সব কোটা পদ্ধতি বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র আপাতত বহাল থাকছে।
সারাবাংলা/টিআর