শাহবাগ ছেড়েছেন আন্দোলনকারীরা, কর্মসূচি জানাতে সংবাদ সম্মেলন কাল
১২ জুলাই ২০২৪ ১৯:৫০
ঢাকা: সরকারি চাকুরিতে বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি জানাতে আগামীকাল (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এই ঘোষণার প্রায় একঘণ্টা অবরোধ শেষে আজকের মতো শাহবাগ ছেড়েছেন তারা।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শাহবাগ অবরোধ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। প্রায় একঘণ্টা শাহবাগ অবস্থান করে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সংবাদ সম্মেলনের কথা জানিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা।
এদিন পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলমান আন্দোলনে হামলার প্রতিবাদে বেলা সাড়ে চারটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্নগুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট প্রদক্ষিণ শেষে শাহবাগ এসে পৌঁছায় বেলা সাড়ে পাঁচটার দিকে। প্রায় একঘণ্টা সময় পর্যন্ত শাহবাগ অবস্থান করেন আন্দোলনকারীরা।
সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটের দিকে আন্দোলনের মূলমঞ্চ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা দেন সমন্বয়কদের একজন আবু বাকের মজুমদার।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ কোটা বাতিল করে সরকারের জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায়ের সংক্ষিপ্ত অংশ প্রকাশ করেছেন। রায়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া জেলা, নারী, প্রতিবন্ধী, আদিবাসী, জাতিগত সখ্যালঘু বা ক্ষুদ্র ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর ক্ষেত্রেও কোটা পদ্ধতি বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বলেছেন, সরকার প্রয়োজনে কোটার অনুপাত বা শতাংশ কমাতে, বাড়াতে বা পরিবর্তন করতে পারবে।
গত ৫ জুন একই আদালত সরকারের ২০১৮ সালের কোটা বাতিলের (নবম থেকে ত্রয়োদশ গ্রেড পর্যন্ত তথা প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে) রায় দিলে মূলত নতুন করে কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। এরই মধ্যে ওই রায়ের বিপক্ষে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল ও শিক্ষার্থীদের পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায়ে চার সপ্তাহের জন্য স্থিতাবস্থা জারি করেছেন। আগামী ৭ আগস্ট এ বিষয়ে আবার শুনানি নেবেন আপিল বিভাগ।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আপিল বিভাগের জারি করা স্থিতাবস্থার ফলে হাইকোর্টের ৫ জুনের রায় বা আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সংক্ষিপ্ত রায়ের কোনো কার্যকারিতা থাকবে না। ফলে আগামী চার সপ্তাহের জন্য কোটা বাতিলে সরকারের ২০১৮ সালের পরিপত্রই বহাল থাকবে।
সারাবাংলা/আরআইআর/এমও
আন্দোলনকারী আন্দোলনে হামলা কোটা কোটা বাতিলের পরিপত্র কোটা সংস্কার কোটা সংস্কারে কমিশন কোটাবিরোধী আন্দোলন নির্বাহী বিভাগ বাংলা ব্লকেড শাহবাগ শাহবাগ অবরোধ শাহবাগ চত্বর সংবাদ সম্মেলন সরকারি চাকরিতে কোটা