Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রামে ৫ সংকটের দ্রুত সমাধান চান সুজন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৩ জুলাই ২০২৪ ২২:২৮

চট্টগ্রাম ব্যুরো: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুৎ সংকট, ওয়াসার পুরো শহর খুঁড়ে রাখা, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধন বিড়ম্বনা এবং শব্দদূষণ– এ পাঁচ নাগরিক সংকটের দ্রুত সমাধান চেয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। এসব সংকটের কারণে চট্টগ্রাম নগরবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

শনিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে নিজ বাসভবনে নাগরিক উদ্যোগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে সুজন এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বিদ্যুৎ সংকট প্রসঙ্গে বলেন, ‘চট্টগ্রামে চাহিদার চেয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে বেশি। অথচ চট্টগ্রামে লোডশেডিং সবচেয়ে বেশি। এত উৎপাদনের পরও কেন চট্টগ্রামের মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে না ? শিল্পকারখানায় উৎপাদন কমে গেছে, পোশাক রফতানির আদেশ বাতিলের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। মানুষের বাসায় ইলেকট্রনিক্স পণ্য নষ্ট হচ্ছে। এইচএসসি পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষার্থীরা গরমের মধ্যে ঠিকমতো পড়ালেখা করতে পারছে না।’

দ্রব্যমূল্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কারণ ছাড়াই সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে। আলু, ব্রয়লার মুরগির ডিম পর্যন্ত মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। সিন্ডিকেট দিচ্ছে ডলারের অজুহাত। শাকসবজিও আমাদের বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় ? সেগুলোর দাম কেন বাড়ছে ? চালের কোনো সংকট নেই, অথচ চালের দাম বাড়ছে। বাজার নিয়ে নিয়ন্ত্রণহীন খেলায় মেতে উঠেছে সিন্ডিকেট।’

ওয়াসা পুরো শহর খুঁড়ে রাখায় যানজট বেড়েছে বলে অভিযোগ করে সুজন বলেন, ‘পাইপলাইন স্থাপন করতে গিয়ে ওয়াসা সারা শহরে অলিগলিতে পর্যন্ত সড়ক খুঁড়ে রেখেছে। যেখানে, যখন ইচ্ছা রাস্তা খুঁড়ে রাখছে, স্বাভাবিকভাবে গাড়ি চলাচল করতে পারছে না, এতে বাড়ছে যানজট। অথচ চাহিদা অনুযায়ী ওয়াসা সেবা দিতে পারছে না। নগরীর বাসাবাড়ির রান্নাঘর, গোসলখানা ও সেপটিক ট্যাংক থেকে নির্গত তরল বর্জ্য সরাসরি নালা ও খাল দিয়ে কর্ণফুলী এবং হালদা নদীতে গিয়ে পড়ছে। নদীগুলো মারাত্মক দূষণের শিকার হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

এনআইডি সংশোধনে বিড়ম্বনার বিষয় তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘জেলা নির্বাচন অফিসে মাসের পর মাস ধর্ণা দিয়ে এনআইডি সংশোধন করতে পারছেন না আবেদনকারীরা। এমনও দেখা যাচ্ছে, বছরের পর বছর সংশোধনের জন্য কর্মকর্তাদের কাছে ঘুরতে হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষের এমন ভোগান্তি মেনে নেয়া যায় না।’

রাজনৈতিক, ধর্মীয়সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গভীর রাত পর্যন্ত উচ্চস্বরে মাইকের ব্যবহারের কারণে নগরবাসীর ভোগান্তির বিষয় তুলে ধরে তিনি সিএমপি কমিশনারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘যেসব সংকটে চট্টগ্রাম নগরবাসী ভুগছেন, সেগুলো সবই মানুষের সৃষ্ট। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং নাগরিক অধিকারের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শনের কারণে এসব সংকট তৈরি হয়েছে। এতে মানুষ বিক্ষুব্ধ হচ্ছেন। আশা করব, কর্তৃপক্ষ মানুষের ক্ষোভ নিরসনে নিজেদের দায়িত্বটুকু পালন করবে আন্তরিকতার সঙ্গে।’

এসময় অন্যান্যের মধ্যে নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াছ ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ হোসেন, মো. শাহজাহান, ছালেহ আহমদ জঙ্গী, শিশির কান্তি বল, কামরুল হোসেন, অনির্বাণ দাশ বাবু, সোলেমান সুমন, মো. জাহাঙ্গীর, রকিবুল আলম সাজ্জী, রাজীব হাসান রাজন, ফেরদৌস মাহমুদ আলমগীর, মাহফুজ চৌধুরী, শুভ ঘোষ, কামরুজ্জামান রানা, ফয়সাল বাদশা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/আরডি/এনইউ

খোরশেদ আলম সুজন চট্টগ্রাম

বিজ্ঞাপন

খুলনায় যুবকের পেটে মিলল ইয়াবা
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১২:০২

আরো

সম্পর্কিত খবর