Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রামে দেড় ঘণ্টা পদযাত্রা শেষে স্মারকলিপি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৪ জুলাই ২০২৪ ১৭:০১

চট্টগ্রাম ব্যুরো: সরকারি চাকরিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দেড় ঘণ্টা গণপদযাত্রা করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে।

রোববার (১৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় নগরীর ষোলশহর স্টেশন থেকে গণপদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পদযাত্রাটি দুই নম্বর গেইট, জিইসি, ওয়াসা, কাজির দেউড়ি, লাভ লেইন হয়ে দুপুর একটায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে পদযাত্রাটি শেষ করেন।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ব্যারিকেড দিলে শিক্ষার্থীদের পাঁচ থেকে সাতজনের একটি প্রতিনিধি দল অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবদুল মালেকের কাছে স্মারকলিপি দেন।

‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর ব্যানারে আয়োজিত এ পদযাত্রায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), চবি অধিভুক্ত কলেজ, বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম পলিটেকনিকেল কলেজের হাজারখানেক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

আন্দোলনের সমন্বয়ক চবির দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রাসেল আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘কোটাবৈষম্য নিরসনের যৌক্তিক দাবিতে আমরা আজ (রোববার) সকালে রাষ্ট্রপতি বরাবর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন আমাদের স্বারকলিপি রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছে দেবেন। সারা বাংলাদেশে আমাদের একই কর্মসূচি চলছে। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে।’

নগর পুলিশের উপ কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে পদযাত্রা করে তাদের স্মারকলিপি দিয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে সবাইকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাদের প্রতিনিধি দল এসে স্মারকলিপি দিয়েছে। পুলিশ সার্বক্ষণিক নিয়োজিত আছে। আন্দোলনের কারণে দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরুদ্ধ থাকার কারনে সাধারণ মানুষরা ভোগান্তিতে পড়ছেন। রোগীরা ঠিক সময়ে হাসপাতালে পৌঁছাতে পারছেন না।’

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল মালেক সাংবাদিকদের বলেন, ‘ছাত্ররা রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য আমাদের কাছে জমা দিয়েছে। আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে এ স্মারকলিপি পৌঁছে দেব।’

গত ১ জুলাই থেকে টানা আন্দোলনে আছেন কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবি জানানো শিক্ষার্থীরা। ২০১৮ সালের কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দফা দাবিকে সামনে রেখে আন্দোলন শুরু হয়েছিল।

কিন্তু গত ৭ জুলাই থেকে তারা এক দফা দাবির কথা বলছেন। দাবিটি হচ্ছে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাস করা। সব গ্রেডে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ কোটা রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সারাবাংলা/আইসি/এমও

পদযাত্রা স্মারকলিপি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর