Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘দুর্নীতি ধরলেই সরকারের ইমেজ নষ্ট হবে— আমি ওটা বিশ্বাস করি না’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৪ জুলাই ২০২৪ ১৮:১৮

ঢাকা: দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স ঘোষণা আছে বলেই সেটা ধরছি— এমন মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা খুঁজে বের করছি বলেই কিন্তু আপনারা জানতে পারছেন? খোঁজ না করলে তো জানা যেত না? এখন আমরা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আর এটা অব্যাহত থাকবেই, এ নিয়ে কোনো দ্বিধা নেই। আমি ওটা বিশ্বাস করি না যে, দুর্নীতি ধরলেই আমার সরকারের ইমেজ নষ্ট হবে।

রোববার (১৪ জুলাই) বিকেলে গণভবনে চীন সফর নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। শুরুতে চীন সফর নিয়ে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন। পরে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের চলমান অভিযানের প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কঠোর হয়েছি বলেই ধরা পড়ছে। এটা মাথায় রাখতে হবে, এর আগে কখনো কেউ দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালায়নি। আমি তো বলেছি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার জিরো টলারেন্স। এর আগে জঙ্গিবাদ ঠিক করার কিথা ছিল। সেটা আমরা করেছি। আর এটা তো চট করে হবে না, দীর্ঘদিনের সমস্যা। এই সমস্ত জঞ্জাল সাফ করতে হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলাম। এখন দুর্নীতি; যার বিরুদ্ধে আমার জিরো টলারেন্স ঘোষণাই আছে। আমি সেটা ধরছি। আমরা খুঁজে বের করছি বলেই কিন্তু আপনারা জানতে পারছেন। খোঁজ না করলে তো জানা যেত না। এভাবেই চলতো, এইভাবেই চলছিল। সেই পঁচাত্তরের পর থেকে এভাবে চলছে। এখন আমরা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আর এটা অব্যাহত থাকবেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার দায়িত্বই হচ্ছে, অন্তত যে সব অনিয়ম আছে সেগুলো ধরে একটা জায়গায় নিয়ে আসা। দেশটাকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করা। সে পদক্ষেপ আমরা।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘চীনের সঙ্গে অনেক আলোচনা হলো। তার তালিকাও দিয়ে দিয়েছি। আমরা সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব নিয়ে চলা নীতি গ্রহণ করেছি। এই নীতি অব্যাহত থাকবে। আমি চীনের রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীকে দাওয়াতও দিয়ে এসেছি বাংলাদেশে আসতে।’

এর আগে, গত সোমবার তিন দিনের দ্বি-পক্ষীয় সফরে চীনের রাজধানী বেইজিং যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটি ছিল তার প্রথম চীন সফর। চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং ও শেখ হাসিনার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর তাদের উপস্থিতিতে ২১ সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই করে বাংলাদেশ ও চীন। এছাড়া সাতটি ঘোষণাপত্র সই করে দুই দেশ।

প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে দুই দেশের সম্পর্ক ‘কৌশলগত অংশীদারত্ব’ থেকে ‘বিস্তৃত কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বে’ উন্নীত হয়েছে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

ইমেজ টপ নিউজ দুর্নীতি সরকার


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর