Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘প্রশ্নফাঁসে বেনিফিশিয়ারিদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৪ জুলাই ২০২৪ ১৯:৪৩

ঢাকা: বিভিন্ন প্রশ্নপত্র ফাঁসে যারা বেনিফিশিয়ারি তাদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, তাদের তো চাকরি করার কোনো অধিকারই থাকবে না। সেটা খুঁজে দেবে কে? প্রশ্ন হচ্ছে, যদি ওরা (প্রশ্ন ফাঁসকারী) বলতে পারে যে, অমুকের কাছে বিক্রি করছিলাম, তখন প্রমাণ করতে পারলে সেটা দেখা যাবে। আমি বিশ্বাস করি, এর বেনিফিশিয়ারিদেরও ধরা উচিত। তাহলে ভবিষ্যতে কেউ এরকম কাজ করবে না।

রোববার (১৪ ‍জুলাই) বিকেলে গণভবনে চীন সফর নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। শুরুতে তিনি চীন সফর নিয়ে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন। পরে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হলেও ওই প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়ে যারা অফিসার হয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি একটা কথা বলি, ২৪তম বিসিএস পরীক্ষা হয়েছিল ২০০২ বা ২০০৩ সালে। ওই বিএনপি আমল। সেই সময় যত পরীক্ষা হতো, আর যত চাকরি হতো- তার কিন্তু কোনো পরীক্ষা-টরীক্ষা হতো না। হাওয়া ভবন থেকে যে তালিকা পাঠানো হতো সেই তালিকা থেকেই নিয়োগ হতো।’

আরও পড়ুন-

তিনি বলেন, ‘সে সময় ঢাকা কলেজে পরীক্ষা হয় এবং একটি বিশেষ কামরা তাদের জন্য আলাদা রাখা হয়। যেখানে বসে তারা পরীক্ষা দিয়ে পাস করে চাকরিতে ঢোকে। তখন কোনো উচ্চ-বাচ্য নাই। এই যে প্রশ্নপত্র ফাঁস বা অনিয়ম, তখন থেকে শুরু। আমরা সরকারে আসার পর ২০০৯ থেকে কিন্তু এই জিনিসটা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছিলাম এবং যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের ওখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০১৮ সালে কোটা আন্দোলন হওয়ার পর এই গ্রুপটা কী করে যেন আবার জায়গা করে নেয়, যেটা এখন ধরা পড়েছে। এখন আমরা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আর এটা অব্যাহত থাকবেই, এ নিয়ে কোনো দ্বিধা নেই। আমি ওটা বিশ্বাস করি না যে, দুর্নীতি ধরলেই আমার সরকারের ইমেজ নষ্ট হবে। তাদের ধরতেই হবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই হবে। কারণ, এগুলো যদি সরে না যায়, এটা চলতেই থাকবে। আগামীতে যাতে এটা না চলতে পারে, তার জন্য ব্যবস্থাটা নেওয়া হয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেকে মনে করতে পারেন, আমাদের সময় প্রশ্নফাঁস শুরু হয়েছে। কিন্তু তা নয়। এটা আমাদের সময়ে শুরু হয়নি। এটা শুরু হয়েছিল জিয়াউর রহমানের আমলে। আর খালেদা জিয়ার আমলে আরও এক ধাপ বেশি। তখন তো তালিকা এলো। সবকিছুর তালিকা এবং ওটা মানতেই হবে। না মানলে কেউ আর জানে বেঁচে থাকতে পারবে না। এটা ছিল বাংলাদেশের অবস্থা- সেটা ভুলে গেলে তো চলবে না।’

২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অবস্থা কী ছিল? প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেউ কোনো কথা বলতে পারছে? কী অবস্থা ছিল? এই যে অনিয়মগুলো করে রেখে গিয়েছিল, সেগুলোকে আবার সুস্থতায় ফিরিয়ে নিয়ে এসেছিলাম। ২০১৮ সালের পর ফের তারা কিছুটা ফাঁক পেয়ে যায়। কিন্তু সেগুলোর পেছনে বহুদিন থেকে যে তারা লেগে আছে তা এখন ধরতে পেরেছি। যখন ধরা পড়েছে, এটা তদন্ত হবে, বিচার হবে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘ঘুষ যে দেবে আর ঘুষ যে নেবে উভয়েই অপরাধী— এটা মাথায় রাখতে হবে। প্রশ্নপত্র যারা ফাঁস করে, আর যারা সেই প্রশ্নপত্র কেনে— দুজনই অপরাধী। এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু এদের খুঁজে বেরটা করবে কে? সাংবাদিকরা যদি চেষ্টা করে বের করে দেয়, ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।’

এর আগে গত সোমবার তিন দিনের দ্বিপাক্ষিক সফরে চীনের রাজধানী বেইজিং যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটি ছিল তার প্রথম চীন সফর। সফরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর তাদের উপস্থিতিতে ২১ সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই করে বাংলাদেশ ও চীন। এ ছাড়া সাতটি ঘোষণাপত্র সই করে দুই দেশ।

প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে দুই দেশের সম্পর্ক ‘কৌশলগত অংশীদারত্ব’ থেকে ‘বিস্তৃত কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বে’ উন্নীত হয়েছে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

টপ নিউজ প্রধানমন্ত্রী প্রশ্নফাঁস বেনিফিশিয়ারি ব্যবস্থা শেখ হাসিনা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ধানমন্ডি থেকে গ্রেফতার শাজাহান খান
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৪৫

সম্পর্কিত খবর