কিশোরকে যৌন নির্যাতনের অপরাধে একজনের যাবজ্জীবন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: কিশোরকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। একই রায়ে আদালত তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায় আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।

সোমবার (১৫ জুলাই) চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম ফেরদৌস আরা এ রায় দিয়েছেন বলে বেঞ্চ সহকারি কফিল উদ্দিন জানিয়েছেন।

দণ্ডিত মো. বাদশা মিয়ার (৪৮) বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নে। কাজের সূত্রে তিনি মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার ধুম ইউনিয়নে মহাজনহাট কলেজ সড়কে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।

মামলার নথিপত্র পর্যালোচনায় জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৭ আগস্ট বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে জোরারগঞ্জ থানায় ১২ বছর বয়সী এক কিশোরকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ইমাম হোসেন নামে এক যুবক মামলা দায়ের করেন। এতে উল্লেখ আছে, ইমামের ছোট ভাই ও ঘটনার শিকার কিশোর পরস্পরের বন্ধু। কিশোরের বাড়ি ফটিকছড়ি উপজেলায় হলেও জোরারগঞ্জের মহাজনহাট কলেজ সড়কে একটি দোকানে সে চাকরি করতো।

পরিচয়ের সুবাদে কিশোর ইমামকে জানায়, বাদশা মিয়া কিশোরকে সাইকেল, মোবাইল ও কবুতর দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ২০২১ সালের ২২ আগস্ট রাত থেকে ২৪ আগস্ট সকাল পর্যন্ত নিজ বাসায় রেখে একাধিকবার যৌন নির্যাতন (ধর্ষণ) করেন। ইমাম বিষয়টি শুনে তাৎক্ষণিকভাবে বাজারে গিয়ে বাদশার কাছে এ বিষয়ে কৈফিয়ত চান। বাদশা উপস্থিত কয়েকজনের সামনে যৌন নির্যাতনের বিষয়টি স্বীকার করতে বাধ্য হন। এরপর ইমাম জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ট্রিপল নাইনে কল দিলে পুলিশ গিয়ে বাদশাকে গ্রেফতার করে।

ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারি কফিল উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ইমামের দায়ের করা মামলায় পুলিশ তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০২২ সালের ৩ এপ্রিল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মোট সাতজনের সাক্ষ্য নিয়ে আদালত এ রায় দেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। পরে সাজামূলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

সারাবাংলা/আরডি/এনইউ