নিরাপত্তা দেখতে চট্টগ্রাম বন্দরে থাই প্রতিনিধি দল
১৫ জুলাই ২০২৪ ২০:৫১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের সঙ্গে সরাসরি জাহাজ চলাচল চালু করার অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম পরিদর্শন করতে দেশটির উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল এসেছেন।
সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল ১০টায় থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা (মন্ত্রী পদমর্যাদার) ড. নলিনী তাভিসিনের নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি চট্টগ্রাম বন্দর কার্যালয়ে এসে পৌঁছান। চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল তাদের শুভেচ্ছা জানান।
সকাল সাড়ে ১১টায় বৈঠক শেষে বন্দরের জেটি পরিদর্শন করেন থাই প্রতিনিধি দল। দুপুর দুইটায় তারা চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করেন।
বন্দরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের বছরে যে ২ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়, যার পুরোটাই সমুদ্রপথে। কিন্তু থাইল্যান্ডের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কিংবা দেশের অন্য কোনও বন্দরের সরাসরি জাহাজ চলাচল নেই। সিঙ্গাপুর বন্দর হয়েই প্রধানত বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডে পণ্য আমদানি-রফতানি বাণিজ্য চালিয়ে আসছে। বাণিজ্য বাড়াতে গত আট বছর ধরেই আলোচনা চলছে থাইল্যান্ডের রেনং বন্দরের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের সরাসরি জাহাজ চলাচল নিয়ে।
২০১৫ সালে নৌ রুটে উপকূলীয় রুটে জাহাজ চালুর বিষয়ে একমত হয় বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে থাইল্যান্ডের রেনংয়ের গভর্নরসহ ১১ জনের একটি দল বাংলাদেশে সফর করে। ২০২১ সালের ডিসেম্বের এসে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ থাইল্যান্ডের রেনং বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্বাক্ষর করে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক সারাবাংলাকে বলেন, ‘থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি জাহাজ চলাচলের বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়েছিল। সেটা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে দুই দেশই তোড়জোড় চালাচ্ছে। থাইল্যান্ডের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আজ (সোমবার) বৈঠক করেছেন।’
‘এরপর তারা চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি পরিদর্শনে যান। জেটিতে জাহাজ আসলে ভিড়তে কোনো অসুবিধে হবে কিনা, লজিস্টিক সাপোর্ট ও নিরাপত্তাসহ আরও বেশকিছু বিষয় তারা পর্যবেক্ষণ করেছেন।’
বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৪টি থাই কোম্পানির প্রতিনিধিরা আছেন যারা জ্বালানি, শিল্প পার্ক, কৃষি-শিল্প এবং রিয়েল এস্টেটের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করছেন।
সারাবাংলা/আইসি/একে