ইবি প্রশাসনের জরুরি বৈঠক, যা জানালের উপাচার্য-প্রক্টর
১৬ জুলাই ২০২৪ ২২:১৩
কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে চারটায় উপাচার্যের বাসভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বাকি বিল্লাহ বিকুল, ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘দুই দফায় মিটিং হয়েছে। এতে সব হলের প্রভোস্টদের হলে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, ক্যাম্পাসের আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, সহকারী প্রক্টররা সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা হয়েছে। সবধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসন, প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্র উপদেষ্টাকে নিয়ে মিটিং করেছি। সেখানে আমরা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি যেন ক্যাম্পাস শান্ত থাকে। ইবি থানার পুলিশকে বলা হয়েছে যেন ক্যাম্পাসে তাদের টহলটা বাড়ায়। আর প্রক্টরিয়াল বডি তো ক্যাম্পাসে ২৪ ঘণ্টা সক্রিয়। এ ছাড়া হল প্রভোস্টদের আবাসিক শিক্ষকদের নিয়ে সার্বক্ষণিক হলে অবস্থান করতে বলেছি।’
ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের কথা হয়েছে। কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। আইডি কার্ড দেখে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করানোর জন্য বলেছি। আর পুলিশ প্রশাসন ও আনসারদের সার্বক্ষণিক সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে সারাদেশে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বেলা সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাসের বটতলা চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। পরে মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালের পাদদেশে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
পরে দুপুর তিনটায় কোটা সংস্কারের নামে মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান ও রাজাকার স্লোগান দেওয়া শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল করেছে শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে প্রায় দেড় শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় নেতাকর্মীরা বলেন, যদি কেউ ক্যাম্পাসে নাশকতার সৃষ্টি করে তবে কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। এ সময় তারা আরও বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে একটি গোষ্ঠী মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান ও দেশের স্বাধীনতাকে অবমাননা করছে।
সারাবাংলা/একে