‘মুক্তিযুদ্ধবিরোধী স্লোগানে বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা’
১৭ জুলাই ২০২৪ ০০:১৪
ঢাকা: কোটা সংস্কারের আন্দোলনে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী স্লোগান দিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে জাতীয় পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ। স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রী মহলের এই দেশবিরোধী নৈরাজ্য তৈরির কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পরিষদ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) জাতীয় পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান ও মহাসচিব প্রকৌশলী মো. শাহাদাৎ হোসেন শীবলুর সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে রুখতে স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রী মহল বিভিন্ন সময়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করেছে। অপরাজনীতি ও নৈরাজ্যের মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামেও স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রী মহল দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশবিরোধী স্লোগান দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করেছে।
পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের নেতারা বলেন, দেশব্যাপী সড়ক-মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে মানুষের স্বাভাবিক দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় বাধা দেওয়ার মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চলছে। বিশেষ করে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির অরাজকতা ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং শিক্ষকসহ পেশাজীবীরা সমস্যার মুখে পড়ছেন। স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রী মহলের এই দেশবিরোধী নৈরাজ্য তৈরির কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সরকারি চাকরিতে কোটা বিষয়টি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত মীমাংসা করে পূর্ণাঙ্গ রায় দিয়েছেন। উচ্চ আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে আন্দোলন করার মানেই রাষ্ট্রের বিচারব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা দেখানো। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের ব্যানারে স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রী মহল মেধাবী শিক্ষার্থীদের পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্র ও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে দাঁড় করিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে।
পরিষদ নেতারা বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন হবে সৃজনশীল, সংহত ও গঠনমূলক। কিন্তু এই কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মুখ থেকে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্য এবং স্বাধীনতাও সার্বভৌমত্বের বিরোধী কুৎসিত স্লোগান উচ্চারিত হওয়ার বিষয়টি কোনোভাবেই কাম্য নয়। আন্দোলনের নামে তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের অসম্মান করছে এবং দেশ ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী স্লোগান দিয়ে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রী মহল কর্তৃক দেশ ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী স্লোগান দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানহানি ও দেশের জনগণের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করার অপচেষ্টা বন্ধ করার পাশাপাশি শিক্ষাঙ্গনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ জোরালো আহ্বান করছে।
সারাবাংলা/এনআর/টিআর