বায়তুল মোকাররমে গায়েবানা জানাজা পড়ল বিএনপি
১৭ জুলাই ২০২৪ ১৫:৪৩
ঢাকা: কোটা আন্দোলনের সময় সংঘর্ষে নিহত শিক্ষার্থীদের গায়েবানা জানাজা করেছে বিএনপি। বুধবার (১৭ জুলাই) বাদ জোহর বায়তুল মোকাররমে এ গায়েবানা জানাজা কর্মসূচি পালন করে দলটি।
কর্মসূচিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লা বুরু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, শহীদ উদ্দিন চৌধরি এ্যানি, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মাওলানা সেলিম রেজাসহ বেশ কিছু কেন্দ্রীয় নেতা অংশ নেন।
নামাজ শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গায়েবানা জানাজায় অংশ নিতে মুসল্লিদের বাধা দেওয়া হয়েছে। আমাদের নেতা-কর্মীদের এখান থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। অন্যান্য দলের নেতা-কর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এটা চরম নিন্দনীয় কাজ। এর নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কোটা আন্দোলন করছি না। তবে, শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনে আমাদের নৈতিক সমর্থন আছে। সরকার ইচ্ছা করলে আলোচনার মাধ্যমে কোটা সমস্যার সমাধান করতে পারত। তা না করে বর্বরভাবে হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে।’
মির্জা ফখরুল কথা বলে মসজিদের উত্তর গেট দিয়ে বের হওয়ার পর সেখানে আগে থেকে উপস্থিত গণতন্ত্র মঞ্চ ও বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী স্লোগান দেওয়া মাত্রই পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। এরপর তারা ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। পুলিশ পাল্টা রাবার বুলেট ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এর আগে বিএনপির নেতা-কর্মীরা বায়তুল মোকাররমের আশপাশ এবং পল্টনের বিভিন্ন গলিতে অবস্থান নেয়। পুলিশ গিয়ে তাদের ধাওয়া করে তাড়িয়ে দেয়।
এদিকে সকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, গায়েবানা জানাজা কর্মসূচিতে ব্যবহারের জন্য বায়তুল মোকাররমে নেওয়া মাইক পুলিশ কেড়ে নিয়েছে। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মঙ্গলবার মধ্যরাতে অভিযান চালানোর পর সকালে কার্যালয়ের সামনে হলুদ ফিতা টাঙিয়ে ক্রাইম সিন ঘোষণা করেছে।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলন থেকে দৃষ্টি ফেরাতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশ অস্ত্রসহ বিস্ফোরক রেখে তা উদ্ধারের নাটক মঞ্চস্থ করেছে।’
সারাবাংলা/এজেড/এনইউ