ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল ছোড়ে। বিপরীতে ইটপাটকেল ছুঁড়েছেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় দুই ঘণ্টার এই সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ অন্তত ৪০ থেকে ৪৫ জন আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) শিক্ষার্থীদের কফিন মিছিলের মাঝেই টিএসসি এলাকা থেকে শুরু হয় সংঘর্ষ। পুলিশের ধাওয়ায় শিক্ষার্থীরা ভিসি চত্বর ও মলচত্বর হয়ে হলপাড়ার দিকে পিছিয়ে জড়ো হতে থাকেন।
এর আগে, বেলা পৌনে ৪টার দিকে প্রতীকী কফিন মিছিল নিয়ে টিএসসির দিকে মিছিল নিয়ে এগোতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে পুলিশের বাধায় পড়েন তারা। এক পর্যায়ে টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলির শব্দে পিছু হটতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
পুলিশ মলচত্বর ও মধুর ক্যান্টিনের পার্শ্ববর্তী সড়ক হয়ে ভেতরে ঢুকতে থাকলে মল চত্বরে সংঘর্ষে চরমে পৌঁছায়।
এদিকে, সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, এখনও পর্যন্ত ৩৫ জন ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন।

ঢাবি ক্যাম্পাসে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। দুপুরে কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ছবি: সারাবাংলা
আহতদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশনস সায়েন্স বিভাগের আফসানা জুঁই (২২) ও ইংরেজি বিভাগের আব্দুল হান্নান মাসুদের (২৪) ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
এ ছাড়াও আহত হয়েছেন যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার ভাস্কর ভাদুড়ি, সময় টেলিভিশনের ভিডিও জার্নালিস্ট রতন মজুমদার, কালবেলা পত্রিকার আকরাম হোসেন ও জনি রায়হান, আলোকিত প্রতিদিনের ইমরান হোসেনসহ আরও কয়েকজন।

ঢাবি ক্যাম্পাসে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। দুপুরে কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ছবি: সারাবাংলা
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ঢাবির ভিসি চত্ত্বর, টিএসসি, শাহবাগ, নীলক্ষতসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আহত অন্তত ৩৫ জন এসেছেন চিকিৎসা নিতে। আহতদের অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে। বেশ কয়েকজন এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছে।