দু’জনের প্রাণ কেড়ে নিয়ে ধরা পড়ল ছিনতাইকারী
১৭ জুলাই ২০২৪ ২২:২৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে সড়কে যানজটের মধ্যে আটকে পড়া একের পর এক গাড়ির চালক ও সহকারীদের প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতের ভয় দেখিয়ে টাকাপয়সা কেড়ে নিচ্ছিল এক যুবক। টাকা না দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে দুজনকে আহত করা হয়, যারা পরে মারা যান। এ সময় ওই এলাকা অতিক্রম করছিল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) টহলদলের একটি গাড়ি। ছোরা উঁচিয়ে ভয় দেখানো যুবককে দেখে তাকে ধরে ফেলেন ডিবি সদস্যরা।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে হাটহাজারী উপজেলার আমানবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জায়েদ নূর।
নিহতরা হলেন, নেজাম উদ্দিন মানিক (৪০) ও ভুলু বড়ুয়া। এদের মধ্যে নেজাম ‘দ্রুতযান’ বাসের চালক। তার বাড়ি হাটহাজারী উপজেলায়। ভুলু বড়ুয়া ট্রাকচালক। তার বাড়ি ফটিকছড়ি উপজেলায়।
গ্রেফতার মো. আরিফ (২২) চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ওসি জায়েদ নূর সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের একটি টহল টিম হাটহাজারীতে ডিউটি শেষে অফিসে ফিরছিল। আমানবাজারে মাইক্রোবাস হালকা জ্যামে আটকা পড়েছিল। তখন দেখা যায়, আরিফ প্রথমে মাইক্রোবাসে চালকের জানালার কাচে সামান্য আঘাত করে। চালক প্রথমে বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। এরপরই দেখা যায়, সে একটি পিকআপ চালকের বুকে ছুরি ধরে আছে। তখন আমাদের সদস্যরা মাইক্রোবাস থেকে নেমে তাকে ধরে ফেলে।’
তিনি বলেন, ‘এ সময় পেছন থেকে কয়েকজন এসে জানায়, সে ছুরিকাঘাত করে আরও দুজনকে জখম করেছে। আমরা সেখানে গিয়ে তাদের দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাই। এভাবে যানজটের মধ্যে সে কয়েকজনের কাছ থেকে টাকাপয়সা আদায় করেছে বলে আমরা জানতে পারি।’
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তথ্য, আহত দুজনের মধ্যে ভুলু বড়ুয়া চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টা ৪০ মিনিটে মারা যান। নেজাম উদ্দিন মানিককে রাত দেড়টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। উভয়ে বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল।
আটক আরিফকে রাতেই হাটহাজারী থানায় হস্তান্তর করা হয়। তার বিরুদ্ধে জোড়া খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় বুধবার বিকেলে খুনের দায় স্বীকার করে আরিফ আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জায়েদ নূর জানান।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম