কোটা আন্দোলন: শেরপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, আহত ৫০
১৭ জুলাই ২০২৪ ১৮:১১
বগুড়া: বগুড়ার শেরপুরে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশের ওসি, সাংবাদিকসহ অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম রেজাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর সোয়া ১টার দিকে শহরের ধুনট মোড় এলাকায় এ সংঘর্ষ ঘটে। পরে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ দেয়।
পরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা উপজেলার বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নিয়ে মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা চালান। এ সময় শহরজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল। আতঙ্কে মার্কেটসহ সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন দোকানিরা।
এদিকে বগুড়া শহরেও সকাল থেকে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল। শহরের সাত মাথাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বগুড়া শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও নিহতের ঘটনায় বুধবার সকাল ১১টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে উপজেলার বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শেরপুর শহীদিয়া আলিয়া মাদরাসায় জমায়েত হন। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে।
এ সময় পুরো শহরটি কোটা আন্দোলনকারীরা দখলে চলে যায়। একপর্যায়ে আন্দোলকারীরা দুপুর সোয়া ১টার দিকে মহাসড়ক দখল নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ তাদের মহাসড়ক থেকে সরে যেতে বলে। এ নিয়ে উভয়ের পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা ও সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে শেরপুর থানার ওসি রেজাউল করিম রেজা, দৈনিক কালের কণ্ঠের সাংবাদিক আইয়ুব আলী, সাংবাদিক আব্দুল হান্নান, সাংবাদিক ওমর ফারুকসহ অন্তত অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন।
শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সুমন জিহাদী বলেন, আন্দোলনকারীরা মহাসড়ক অবরোধ করে যানবাহন ভাঙচুরের চেষ্টা চালালে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সারাবাংলা/টিআর