ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশজুড়ে ভয়াবহ সহিংসতা ও নাশকতার পর সীমিত পরিসরে ইন্টারনেট ফিরেছে। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যা পর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সচল পাচ্ছেন গ্রাহকরা।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে মহাখালীতে অবস্থিত খাজা টাওয়ারে আগুন দেওয়া হলে ডাটা সেন্টার অকার্যকর হয়ে পড়ে। দেশজুড়ে বন্ধ হয়ে যায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা। তারও আগে বুধবার (১৭ জুলাই) সারাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ স্লো করে দেওয়া হয়। মূলত গুজব প্রতিরোধে ইন্টারনেট সংযোগ স্লো করা হয় বলে জানিয়েছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় পুরো দেশ প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে পড়ে সকল ধরণের ডিজিটাল লেনদেন। বন্ধ হয়ে পড়ে এটিএম বুথগুলোও। নগদ অর্থের সংকটে পড়েন সাধারণ মানুষ। বিপাকে পড়েন ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা। দেশের রফতানি আয়ের প্রধান উৎস পোশাক খাতেও ইন্টারনেট বন্ধ থাকার প্রভাব পড়ে। ফ্রিল্যান্সররা হয়ে পড়েন কাজহীন। নেট সচল হওয়ার পর ধীরে ধীরে সব সচল হতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সচল হতে থাকে। সচল হতে থাকে মোবাইল ইন্টারনেটও। নেট সচল হওয়ার পর ধীরে ধীরে সব সচল হতে শুরু করেছে।
এদিকে, দেশজুড়ে চলছে কারফিউ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করছে সেনাবাহিনী। রবি সোম ও মঙ্গলবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। তবে বুধ ও বৃহস্পতিবার সাধারণ ছুটি নেই। এই দুই দিন সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস চলবে সকাল ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত।
এদিকে, ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় অনলাইন নিউজপোর্টালগুলোও বিকল হয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবারের পর থেকে অকার্যকর ছিল দেশের অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো।