Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘এত খারাপ অবস্থা দেখিনি’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৪ জুলাই ২০২৪ ২০:০৬

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আজকে দেশের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। আমরা রিসেন্টলি এত খারাপ অবস্থা দেখিনি। একটা আন্দোলনকে দমন করার জন্য এরকম চরম শক্তি প্রয়োগ করা, সেখানে শত শত মানুষকে হত্যা করা, পরবর্তীকালে আর্মি নামানো, কারফিউ দেওয়া, ইদানিংকালে হয়নি।

বুধবার (২৪ জুলাই) বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, ‘যদিও বলছে তারা ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ইন্টারনেট চালুর সুরাহা করতে পারেনি। এতে করে যে সংবাদ মাধ্যমের কষ্ট হয়েছে বা সাধারণ মানুষের কষ্ট হয়েছে, তা না, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্র্রভূত ক্ষতি হয়েছে। আপনারা দেখেছেন যে, একটা ভিডিও তৈরি করে ব্যবসায়ীদের একটা সভায় দেখানো হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কোটা সংস্কারের আমাদের সমর্থন ছিল, এখনো আমরা দিচ্ছি। তাদের যে দাবিগুলো ছিল, তা এখনো পুরণ করা হয়নি। তাদের দাবি ৮ দফা। সেগুলো কিন্তু এখনো হয়নি। শুধু কোটা নয়, আরও যে দাবিগুলো আছে অবশ্যই সেসব দাবি সরকারের পুরণ করা উচিত। এ সরকারের সবচেয়ে বড় সমস্যা যেটা সেটা হচ্ছে যে, জনগণের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। জনগণের কাছে তাদের কোনো জবাবদিহিতা নেই। সে কারণে তারা জনগণের যে চোখের ভাষা, জনগণের যে মনের কথা সেটা তারা কখনো বুঝতে পারে না।’

‘সেই কারণে তারা এখন মূল ফোর্সকে এপ্লাই করে নির্যাতন-নিপীড়ন করে ক্ষমতায় টিকে থাকা ছাড়া তাদের কোনো উপায় নেই। আমাদের মূল দাবি একটাই, সেটা হচ্ছে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। সেই বিষয়টিতে সরকার না গিয়ে নানা কথা বলছে। এটা রাজনৈতিক সমাধান করতে হবে, তা না হলে হবে না’— বলেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ঠিক মতো তথ্য পাচ্ছি না। যোগাযোগ ব্যবস্থা সরকার বন্ধ করে রাখায় আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছি। নেতা-কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভবপর হচ্ছে না। আমাদেরর অফিসে অভিযান চালিয়ে সব কিছু নিয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কয়েকদিন আগে তালা-টালা লাগিয়ে দিয়েছিল। ফলে আমরা এখনো কাজ শুরু করতে পারিনি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের প্রায় দুই হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নূর, জামায়াতে ইসলামের মিয়া গোলাম পারোয়ার, ডা.আবদুল্লাহ তাহেরসহ অনেক জাতীয় নেতাকে তারা গ্রেফতার করেছে।’

তিনি বলেন, ‘কত জন এই আন্দোলনে মারা গেছে, কত জন আহত হয়েছে এটা তারা (সরকার) জানাচ্ছে না। উদ্দেশ্য হচ্ছে যে, গোটা জাতিকে ভ্রান্ত ধারণা দেওয়া। সেখানে তারা কোটা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের বিষয়টা পুরোপুরি বাদ দিয়ে শুধুমাত্র সরকারি স্থাপনায় হামলা-ভাংচুরের যেসব ঘটনা ঘটেছে সেগুলো সামনে আনতে চায়। এখানে বিএনপির ওপর দোষ চাপাতে চায়।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা খুব পরিস্কার সারা বিশ্বের কাছে যে, বাংলাদেশে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাদের জনগণের প্রতি, গণতন্ত্রের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই। আজকে এই আন্দোলনে জনসাধারণকে হত্যা করা হয়েছে, সেই ছবি বিদেশে গেছে। সেখানে গণতান্ত্রিক দেশগুলো, গণতান্ত্রিক দেশের নেতৃবৃন্দ তো কথা বলবেই। ড. মুহাম্মদ ইউনুস সম্পর্কে আজকে নয়, বহুদিন ধরে তারা তার ভাবমূর্তি বিনষ্ট ও তাকে হেয়প্রতিপন্ন করছে, তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে, সাজাও দিয়েছে। তিনি নাকি রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্য দিয়েছেন বলে বলা হচ্ছে। সত্য কথা বললেই রাষ্ট্রবিরোধী হয়ে যায়, সত্য কথা বললে গণবিরোধী হবে। গণবিরোধী তো হচ্ছে আওয়ামী লীগ, আসল রাষ্ট্রবিরোধী হচ্ছে আওয়ামী লীগ।’

সারাবাংলা/এজেড/এনইউ

টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ধানমন্ডি থেকে গ্রেফতার শাজাহান খান
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৪৫

সম্পর্কিত খবর