নওগাঁর আত্রাইয়ে খলশানি বিক্রির ধুম
২৮ জুলাই ২০২৪ ০৮:৩৮
নওগাঁ: নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন বাজারে খলশানি (মাছ ধরার চাঁই) বিক্রির ধুম পড়েছে। গত কয়েক দিনের বৃষ্টির পানিতে উপজেলার খাল-বিলে পানি বাড়তে থাকায় উপজেলার হাট বাজারগুলোতে প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে শত শত খলশানি।
বিশেষ করে উপজেলার আহসানগঞ্জ হাট, মিরাপুর, রাণীনগর উপজেলার নিজামপুর, ঝিনা, খট্টেশ্বরসহ বিভিন্ন হাটে বাঁশের তৈরি মাছ ধরার এই ফাঁদ কেনার জন্য ক্রেতাদের ভিড় ছিল উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
আহসানগঞ্জের খোলশানি বিক্রেতা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বাঁশ, কটের সুতা এবং তাল গাছের আঁশ দিয়ে তৈরি এসব খলশানি মানের দিক দিয়ে অনেক ভালো। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলাতেও এই খলশানি যায়। এই পেশায় জড়িত পরিবারগুলোর কাছে বর্ষা মৌসুমে এর কদর বেশিও। যথাযথ মূল্য পাওয়ায় মাত্র দুই তিন মাসেই খলশানি বিক্রি করেই তারা প্রায় বছরের খোরাক ঘরে তুলে নেয়।
আত্রাই উপজেলা বাসিন্দা ফারুক বলেন, বর্ষা মৌসুমে এর চাহিদা থাকায় রাত দিন পরিশ্রমের মাধ্যমে খলশানি তৈরি করে তারা লাভবান হন। লাভের আশায় বাড়ির সব সদস্যরা মিলে খলশানি তৈরি কাজ করে থাকেন।
তিনি বলেন, প্রতিটি খলশানি তৈরি করতে প্রকারভেদে খরচ হয় ৭০-৩৫০ টাকা। আর বিক্রি হয় ১২০-৫০০ টাকায়। বর্তমানে ছোট জাতের মাছ ধরার সুতি, ভাদায় ও কারেন্ট জালের দাপটের কারণে দেশি প্রযুক্তির বাঁশের তৈরি খলশানি সামগ্রী টিকে থাকতে পারছে না। কষ্ট হলেও বাপ-দাদার এই পেশাটাকে ধরে রেখেছি।
উপজেলার একাধিক খলশানি বিক্রেতার সঙ্গে কথা বললে জানান, বর্ষা এবার আগাম শুরু হওয়ায় খলশানির কদর বেড়েছে। হাট বাজারগুলোতে খলশানি বিক্রির ধুম পড়েছে।
তারা আরও জানান, খলশানি তৈরির সামগ্রীর দাম আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। তাই আগের মতো আর লাভ হয় না। দীর্ঘ দিন থেকে এ ব্যবসায় জড়িত তাই ছাড়তেও পারছেন না। এ পেশায় টিকে থাকতে তারা সরকারি সহযোগিতা চান।
আহসানগঞ্জ হাটে খলশানি কিনতে আসা রবিউল আলম বলেন, খলশানি দিয়ে যেকোন ছোট জাতের মাছ ধরা যায়। আর বর্ষা মৌসুমে এর চাহিদা বেড়ে যায়। খরচের দিক দিয়ে খলশানি অনেক সাশ্রয়ী।
সারাবাংলা/এনইউ