ঠাকুরগাঁওয়ে বিবস্ত্র করে নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ
২৮ জুলাই ২০২৪ ১৩:০৫
ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বদলীবাড়ি গ্রামের এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পাঁচজনের নামসহ অজ্ঞাত চারজনের কোথা উল্লেখ করে ভূল্লী থানা মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।
শনিবার (২৭ জুলাই) রাতে রুমানা ফেরদৌস নামে ওই নারী মামলাটি দায়ের করেন বলে ভূল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দুলাল উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন— ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মাদারগঞ্জ বদলীবাড়ি গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মাহাবুব ইসলাম (৫২), মাহাবুব ইসলামের ছেলে তাহসিন (২২), আব্দুস সামাদের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৫), মাহাবুব ইসলামের মেয়ে তাসনিম আক্তার (২৫), মাহাবুব ইসলামের স্ত্রী ইসমত আরা (৪৫)।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, রোমানা ফেরদৌস (৩৮) বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গত ২৩ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ময়লা ফেলার জন্য তার বাবার ভোগদখলীয় বাড়ির পাশে সুপারি বাগানে গেলে অভিযুক্তরা তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। বাকবিতণ্ডার একপর্যায় বিবস্ত্র করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি মাথায় কোপাতে থাকে। এতে গুরুতর জখম হন ওই নারী। এ সময় চিৎকারে তার স্বামী এগিয়ে এলে তাকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। এরপর তারা বাড়ির ভেতরে গিয়ে ওই নারীর বৃদ্ধ বাবাকেও মারধর করে। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে এবং পুলিশের সহযোগিতায় তাদের ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি সন্ত্রাসী চক্র সু-পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালায়। চক্রটি সরলতার সুযোগ নিয়ে পেশি শক্তি ব্যবহার করে জমি দখলের চেষ্টা করে।
মামলার বাদী রুমানা ফেরদৌস বলেন, সন্ত্রাসী চক্রটি এরআগেও আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছিল। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ থানায় অভিযোগ করেছিলাম। তারা একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। তারা বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে।
মামলার আসামি মাহাবুব ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এখন বাইরে আছি। পরে আপনাদের সাথে দেখা করে কথা বলব।
ঠাকুরগাঁও ভূল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত করমকর্তা (ওসি) মো. দুলাল উদ্দীন বলেন, বাদী পক্ষ অভিযোগ দিয়েছিল। সেটা সংশোধন করে দিলে মামলা নথিভুক্ত করে আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।
সারাবাংলা/ইআ