ঢাকা: কোটা আন্দোলনের সহিংসতার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবুল হাওলাদার (৪৮) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২৭ জুলাই) রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।
নিহত বাবুল হাওলাদারের ছেলে মো. পারভেজ হাওলাদার জানান, তাদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থানার আপর গ্রামে। তারা দুই ভাই ও একবোনসহ রামপুরা উলন রোডে থাকতেন। তার বাবা রং মিস্ত্রির কাজ করতেন।
পারভেজ আরও জানান, গত ১৯ জুলাই শুক্রবার সকালে পূর্ব রামপুরা কাজে গিয়েছিলেন তার বাবা। দুপুরে জুমার নামাজের পর সেখান থেকে হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন। তখন ওই এলাকাতে ব্যাপক আন্দোলন ও গুলাগুলি চলছিল। তিনি হাতিরঝিল পলাশবাগ মোড় দিয়ে বাসায় ফেরার সময় রাস্তা পার হতে গেলে তখন তার গলার নিচে একটি গুলিবিদ্ধ হয়। খবর পেয়ে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে ওই দিনই ঢাকা মেডিকেলে এনে ভর্তি করা হয়।
পারভেজের দাবি, তার বাবা কোনো আন্দোলনে ছিলেন না। পথচারী হিসেবে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, নিহত ব্যক্তির গলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২৭ জুলাই) ইয়ামিন চৌধুরী (১৮), শুক্রবার (২৬ জুলাই) ইমতিয়াজ আহমেদ ডালিম (২০) ও মাইনুদ্দিন (২৫) নামে তিন মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে দুইজনই শিক্ষার্থী।