Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নেত্রকোণার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের উদ্যোগ

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৩ আগস্ট ২০২৪ ১১:০৬

ঢাকা: নেত্রকোণা জেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এজন্য ‘নেত্রকোণা জেলার ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নতিকরণে পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। অনুমোদন পেলে এটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)।

প্রস্তাবটি নিয়ে গত ১৫ জুলাই অনুষ্ঠিত হয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) আব্দুল বাকী।

বিজ্ঞাপন

এ প্রসঙ্গে আব্দুল বাকী সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর মানুষের জীবনমান উন্নয়ন হবে। এসডিজির মূল কথা হলো কাউকে পেছনে ফেলে নয়। সরকারও চাইছে কেউ যেন পিছিয়ে না পড়ে। উন্নয়নে সঙ্গে যেন তারাও থাকে। পিইসি সভায় বিভিন্ন সুপারিশ দিয়েছে ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) সংশোধনের কথা বলা হয়েছে।’

প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ বিভাগের অন্তর্ভুক্ত নেত্রকোণা জেলা দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলায় ৪টি নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস। কলমাকান্দা উপজেলায় ৫৮টি গ্রামে ২৪৪টি গারো পরিবারে জনসংখ্যা ১০ হাজার ৭২ জন। অপরদিকে ৩৭টি গ্রামে ১ হাজার ৭৭টি হাজং পরিবারে জনসংখ্যা ৫ হাজার ২৫ জন। একই উপজেলায় সিংহ বা হুদি জনসংখ্যা ২৩০ জন এবং বানাই ১৪ জন। সর্বোপরি উপজেলার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে দুর্গাপুর উপজেলায় গারো জনসংখ্যা ৬ হাজার ৩৫২ জন, হাজং ২ হাজার ৫৪৫ জন, সিংহ বা হুদি ১২৭ জন বাস করে। দূর্গাপুর উপজেলার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী। এ জনগোষ্ঠীর গ্রামগুলোর প্রয়োজনীয় অবকাঠামো না থাকায় এবং তাদের তৈরি করা পণ্য সহজে বাজার জাত না করতে পারায় জীবনমানের আশানুরূপ উন্নতি হচ্ছে না। এ অবস্থায় নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর ও কালমাকান্দা উপজেলায় গ্রামীণ যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করে প্রকল্প এলাকার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণ করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও দারিদ্র বিমোচনের জন্য চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৭ সালের জুনে বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পটির প্রস্তাব করা হয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত প্রকল্পে ২০ কিলোমিটার আরসিসি সড়ক উন্নয়ন বাবদ ৪৮ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এ অর্থ দিয়ে কোন ধরনের সড়ক নির্মাণ করা হবে তা উল্লেখ না থাকায় পিইসি সভা ব্যাখা চাওয়া হয়।

এ ছাড়া প্রস্তাবিত প্রকল্পে দুটি বাজার উন্নয়ন বাবদ এক কোটি টাকা ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে। বাজারের নামসহ বাজারে কী কী উন্নয়ন করা হবে তার ব্যয়সহ একটি তালিকা উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) সংযোজন করতে বলেছে পিইসি সভা।

সারাবাংলা/জেজে/একে

জীবনমান নেত্রকোণা পিইসি সভা প্রকল্প

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর