পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ১৫ খাতে ৭০০ কোটি টাকার ক্ষতি
৪ আগস্ট ২০২৪ ১০:০০
কক্সবাজার: কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ১৫ খাতে ৮ দিনে ৭ শত কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। গত ১৬ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত এসব ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে আইন শৃঙ্খলার উন্নয়নের সুপারিশ ব্যবসায়ীদের। একইসঙ্গে ১৫ দিনের ভ্যাট মওকুফ ও কর্মচারীদের জন্য প্রণোদনার দাবি জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এমন তথ্য প্রকাশ করেন কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা।
তিনি জানান, ১৬ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৮ দিনের ব্যবসায়ীদের ক্ষতির তথ্য চেয়েছে সরকার। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে ১৫টি খাতের ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে।
কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির দেওয়া তথ্য বলছে— এই ৮ দিনে কক্সবাজারের সাড়ে ৩ শত রেস্তোরাঁয় ২ কোটি ৮০ লাখ, সাড়ে ৪ শত আবাসিক হোটেল, মোটেল গেস্ট হাউসে ৭৪ কোটি ৭০ লাখ, দূরপাল্লায় চলাচলকারী ৯০টি বাসে ৩ কোটি ৮৯ লাখ, জেলার অভ্যন্তরে চলাচলকারী ১৬০ টি বাসে ৭৭ লাখ, ভোগ্যপণ্যের ১ হাজার দোকানে ৪০ কোটি, ২ হাজার অন্যান্য দোকানে ৪ কোটি ৮০ লাখ, নিমার্ণ সামগ্রীর ৭ শত দোকানে ৩৫ কোটি, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ১৪৮ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ ছাড়া উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠানের ৪ কোটি ৮ লাখ, ৫ শত বামির্জ মাকের্টের দোকানে ২০ কোটি, মোবাইল ব্যাংকিং নগদ, বিকাশ সহ অন্যান্য ৮ হাজার প্রতিষ্ঠানের ৩২০ কোটি, মৎস্য খাতে ২৫ কোটি ২০ লাখ, মোবাইল সেটের ৫ শত দোকানে ৮ কোটি, পোল্টি ফার্মে ৫ কোটি ২০ লাখ এবং ৩২ টি জ্বালানী তেল, ৫৫ টি এলপিজি গ্যাস পাম্পে ৩ কোটি টাকা ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা জানান, এসব খাতে এখনও ক্ষতি অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহে ধারাবাহিক ক্ষতি হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে আইন শৃঙ্খলার উন্নয়নের সুপারিশ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে ১৫ দিনের ভ্যাট মওকুপ ও কর্মচারীদের জন্য প্রণোদনার দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
সারাবাংলা/একে