বন্ধ থাকা ১৩ টেক্সটাইল মিল চালুর সিদ্ধান্ত
২০ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৭:৫৬
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কর্পোরেশনের (বিটিএমসি) ১৩টি মিল সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি)‘র মাধ্যমে এসব মিল চালু করা হবে। মিলগুলোর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। মিলগুলো চালুর ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় মিলগুলোর চালুর বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন ১৩টি মিল হলো :
১. আর আর টেক্সটাইল মিল, চট্টগ্রাম : মিলটির নাম পরিবর্তন করে ‘ডেভেলপমেন্ট আর আর টেক্সটাইল মিল, চট্টগ্রাম’ নাম প্রস্তাব ধরা হয়েছে। ব্যয় ধরা হয়েছে ৬০০ কোটি টাকা।
২. আমিন টেক্সটাইল মিল, চট্টগ্রাম : নতুন নাম ‘ডেভেলপমেন্ট অব আমিন টেক্সটাইল মিল, ষোলোশহর, চট্টগ্রাম। মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
৩. রাঙ্গামাটি টেক্সটাইল মিল, রাঙ্গামাটি : নতুন নাম ‘ডেভেলপমেন্ট অব রাঙ্গামাটি টেক্সটাইল মিল, রাঙ্গামাটি’। মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা।
৪. মাগুরা টেক্সটাইল মিল, মাগুরা : নাম পরিবর্তন করে ‘ডেভেলপমেন্ট অব মাগুরা টেক্সটাইল মিল, মাগুরা’ করা হয়েছে। মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬০০ কোটি টাকা।
৫.বেঙ্গল টেক্সটাইল মিল, নওয়াপাড়া, যশোর : নতুন নাম ‘ডেভেলপমেন্ট বেঙ্গল টেক্সটাইল মিল, নওয়াপাড়া,। মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬০০ কোটি টাকা।
৬. রাজশাহী টেক্সটাইল মিল, রাজশাহী : নতুন নাম ‘ডেভেলপমেন্ট রাজশাহী টেক্সটাইল মিল, সপুরা, রাজশাহী। মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা।
৭. সুন্দরবন টেক্সটাইল মিল, সাতক্ষীরা : নতুন নামের প্রস্তাব ডেভেলপমেন্ট সুন্দরবন টেক্সটাইল মিল, সাতক্ষীরা। মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা।
৮. দিনাজপুর টেক্সটাইল মিল, দিনাজপুর : নতুন নাম ডেভেলপমেন্ট দিনাজপুর টেক্সটাইল মিল, সাদারপুর, দিনাজপুর। মোট ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার কোটি টাকা।
৯. জলিল টেক্সটাইল মিল, দিনাজপুর : নতুন নামের প্রস্তাব ডেভেলপমেন্ট জলিল দিনাজপুর টেক্সটাইল মিল, সাদারপুর, দিনাজপুর। মোট ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার কোটি টাকা।
১০.দারোয়ানী টেক্সটাইল মিল, নীলফামারী : নতুন নাম ডেভেলপমেন্ট দারোয়ানী টেক্সটাইল মিল, নিলফামারী। ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার কোটি টাকা।
১১. দোস্ত টেক্সটাইল মিল, রানীরহাট, ফেনী : নতুন নাম ডেভেলপমেন্ট দোস্ত টেক্সটাইল মিল, রানীরহাট, ফেনী। মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা।
১২. আফসার কটন মিল, সাভার : নতুন নাম ‘ডেভেলপমেন্ট আফসার কটন মিল, সাভার, ঢাকা। মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজর ২০০ কোটি টাকা।
১৩. দি এশিয়াটিক কটন মিল, চট্টগ্রাম : নতুন নাম ‘ডেভেলপমেন্ট দি এশিয়াটিক কটন মিল, চট্টগ্রাম। মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজর ২০০ কোটি টাকা।
এসব মিলের মোট জমির পরিমাণ নির্ধারণ হয়েছে ৩৮০ দশমিক ৪৭ একর। যার সম্ভাব্য মূল্য এক হাজার ৫৯২ কোটি টাকা।
প্রস্তাবনায় বলা হয়, বিটিএমসি’র জমি মূলধন হিসেবে বিবেচ্য হবে। প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন, রক্ষণাবেক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণসহ সকল পরিচালনা সংক্রান্ত দায়িত্ব প্রাইভেট পার্টির ওপর থাকবে। প্রকল্প ব্যয়ে বিটিএমসি ও প্রাইভেট পার্টি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অথবা আলোচনার মাধ্যমে প্রকল্পের শেয়ার বন্ট হবে। শেয়ারের ভিত্তিতে লভ্যাংশও বণ্টন হবে।
এছাড়া কানাডা থেকে তিনটি উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাব উঠেছে কমিটির বৈঠকে।
ওআইসিভুক্ত দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন সামনে রেখে ৩০টি মার্সিডিজ বেঞ্জ এবং বিএমডব্লিউ গাড়ি আমদানি করতে যাচ্ছে সরকার। একই বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব তোলা হয়েছে।
২০১৮ সালের মে মাসে ঢাকায় ওআইসি দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
সারাবাংলা/জিএস/একে