অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হলো বাংলাদেশ-ভারত ট্রেন চলাচল
৬ আগস্ট ২০২৪ ২৩:৫১
ঢাকা: বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চলাচল সহজ করতে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল কয়েক বছর আগেই। ঈদের সময়গুলো ছাড়া কখনোই দীর্ঘ সময় ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকেনি। এবার সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতা বিবেচনায় রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। যা গত ১৬ দিন ধরে অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, শিগগিরই দুই দেশের মধ্যে ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে না। আপাতত ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহালই থাকছে।
দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হওয়ার পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকেই কোনো ট্রেন বাংলাদেশ সীমান্ত পার করেনি। পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকলে ফের ট্রেন চলাচল শুরুর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে ভারত। দেশটির রেল কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য দুই দেশের মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। একইভাবে বন্ধ আছে কলকাতা ও ঢাকার মধ্যে বাস চলাচল।
ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস ও কলকাতা-খুলনায় চলাচলকারী বন্ধন এক্সপ্রেস ছাড়াও নিউ জলপাইগুড়ি চলাচলকারী মিতালী এক্সপ্রেসের সব শিডিউল আপাতত বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯ জুলাই থেকেই বন্ধ রয়েছে মৈত্রী এক্সপ্রেস।
পূর্ব রেলের জনসংযোগ কর্মকর্তা কৌশিক মিত্র এক বিবৃতিতে পশ্চিমবঙ্গ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ১৩১০৮ কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস ও ১৩১১০ ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস আগামী ৭ আগস্ট যাওয়া ও আসার কথা ছিল। কিন্তু সেই ট্রেন দুটির শিডিউল বাতিল করা হয়েছে। শর্তা সাপেক্ষে বাতিল শিডিউলের ভাড়ার সম্পূর্ণ অর্থ যাত্রীদের ফেরত দেওয়া হবে।
প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ ভারতে ভ্রমণ করে থাকেন। ভ্রমণ, চিকিৎসা, ব্যবসা এমনটি সাশ্রয়ী মূল্যে কেনাকাটার জন্যও ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করেন। এসব যাত্রীদের ভ্রমণ আরামদায়ক করার পাশাপাশি দুই দেশের বন্ধুত্বে প্রতীক হিসেবে এই তিন রুটে চালু করা হয় ট্রেন পরিষেবা। কলকাতা ও ঢাকার মধ্যে মৈত্রী এক্সপ্রেস সপ্তাহে পাঁচদিন করে চলে। দেশে চলমান অস্থিরতার জেরে রেলসেবা বন্ধ থাকার ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম