Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

লক্ষ্মীপুর বিসিকের বেহাল দশা, কারখানায় অনাগ্রহ উদ্যোক্তাদের


৩ জুন ২০১৮ ১৭:৫২

।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর বিসিক শিল্প নগরীর বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। বর্তমানে যোগাযোগ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা খুবই নাজুক। শুরু থেকে এখনো বিসিক এরিয়ায় গ্যাস-বিদ্যুৎ এবং পানির সংকট রয়েছে। এতে করে কারখানা স্থাপনে আগ্রহ হারাচ্ছে শিল্প উদ্যেক্তারা। আর উৎপাদনে আসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকরা রয়েছেন লোকসানে।

তবে বিসিকের প্রমোশন অফিসার তা অস্বীকার করে বলছেন, চলমান সমস্যা সমাধানে যে পরিমাণ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে তা পাননি তারা। যার ফলে এখন বন্ধ হওয়ার পথে রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অব্যবস্থপনা ও স্বেচ্ছারিতার অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, লক্ষ্মীপুরের বেকার সমস্যার সমাধান ও শিল্পায়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে বিসিক শিল্প নগরী প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়। শহরের বাঞ্চানগর এলাকায় ১৬ একর ভূমির ওপর সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০৪ সালে সম্পন্ন হয় কাজ। এখানে তৈরি করা হয় তিন ক্যাটাগরির ১০০টি প্লট। এর মধ্যে ৫৮টি শিল্প প্রকল্পের অনুকূলে ৯৬টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়। বর্তমানে ২৬টি প্রকল্প চালু রয়েছে। বাকি ৪টি প্রকল্প উৎপাদন জনিত সমস্যার কারণে বন্ধ রয়েছে।

এদিকে বিসিক প্রতিষ্ঠার ২১ বছর পরও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এখানে। বেকারি, তৈল কারখানা, সয়াবিন প্রক্রিয়াজাতকরণ, অটো রাইচমিল, মবিল রি-প্যাকিং ফ্যাক্টরিসহ বর্তমান সময়ে বিসিক শিল্প নগরীতে শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে হাতে গোনা কয়েকটি। কিন্তু গ্যাস, বিদ্যুৎ সংকট ও পানির সমস্যার কারণে সেগুলোও এখন বন্ধের উপক্রম হয়েছে।

সুলতানীয়া বেকারির মালিক আবুল কাশেম জানান, লক্ষ্মীপুর বিসিক এলাকার বেহার অবস্থার কারণে কারখানা মালিকদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। আবার নতুন শিল্প উদ্যোক্তারা আগ্রহ হারিয়ে পেছনে হাঁটছেন। পানির ট্যাংকি থাকলেও ১০ বছর ধরে সাপ্লাই বন্ধ থাকায় সংশ্লিষ্টরা এর সুফল পাচ্ছে না বলেও জানান এ ব্যবসায়ী।

বিজ্ঞাপন

শিল্প উদ্যেক্তা বেলাল আহমদ ও সেলিম জানান, বিসিক এলাকার মূল ফটক থেকে শুরু করে প্রায় সকল রাস্তা চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে খানা খন্দকে পুরো রাস্তা এখন পরিণত হয়েছে যেন পুকুরে। যোগাযোগ ব্যবস্থার এমন অবস্থায় পণ্য আনা নেওয়ায় বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে শিল্প মালিকদের। প্রায় সময়ে দুর্ঘটনার ঘটনাও ঘটছে বলে তারা অভিযোগ করেন।

এ ছাড়াও বিসিকের বিরুদ্ধে অনেকের অভিযোগ রয়েছে, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে ঠিক মতো ময়লা নিষ্কাশন হচ্ছে না। এতে করে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। ময়লা আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় যত্রতত্র ব্যবহারে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে ও নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শ্রমিকরা।

এদিকে বিসিক কর্তৃপক্ষ প্রতি বছর সাড়ে চার হাজার টাকা সার্ভিস চার্জ নিলেও তাদের বিরুদ্ধে অব্যবস্থপনা ও স্বেচ্ছারিতার অভিযোগ রয়েছে।

বিসিক শিল্প নগরীর দায়িত্বরত প্রমোশন অফিসার ফাতেমা আক্তার বলেন, চলমান সমস্যা সমাধানে দুই কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়ার পর মাত্র ১২ লাখ টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়। যা দিয়ে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।

সারাবাংলা/এমএইচ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর