যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একটি স্কুলে ইসরাইলি হামলায় ১০০ হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন বহু মানুষ।
শনিবার (১০ আগস্ট) ভোরে গাজা শহরের দারাজ এলাকায় আল-তাবিন স্কুলে হামলাটি চালালো হয়। স্কুলটিতে বাস্তুচ্যুত হওয়া হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, বোমা বিস্ফোরণে আল-তাবিন স্কুলে আগুন লেগে যায় এবং স্থানীয় উদ্ধারকারী দল তা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা যে স্কুলে বোমা হামলা করেছে, সেটি হামাসের সদর দফতর হিসেবে কাজ করছিল এবং সেখানে সন্ত্রাসী রয়েছে।
এক বিবৃতিতে সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা একটি সামরিক কমান্ড সদর দফতরে কাজ করা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে, যেটি আল-তাবিন স্কুলের ভিতরে অবস্থিত ছিল। হামাস সন্ত্রাসীরা ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং ইসরাইল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলা চালাতে এবং লুকানোর জন্য সদর দফতর হিসেবে স্কুলটি ব্যবহার করছিল।
এর আগে, সোমবার (৫ আগস্ট) গাজা শহরের পশ্চিমে হাসান সালামা এবং আল-নাসর স্কুলকে লক্ষ্য করে ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হন। স্কুল দুটিতে ফিলিস্তিনি শরণার্থী পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছিল।
শনিবার (৩ আগস্ট) গাজার শেখ রাদওয়ান পাড়ায় একটি স্কুলে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। এতে অন্তত ১৭ জন নিহত এবং ৬০ জন আহত হন। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ছিল। এছাড়া, হামলার শিকার ওই স্কুলটিতেও ফিলিস্তিনি শরণার্থী পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) গাজার শুজাইয়া এলাকার একটি স্কুলে হামলা চালায় ইসরাইল। হামলার শিকার ওই স্কুলটিতে অন্তত ১৫ আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনি শরণার্থী নিহত হন।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।