Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘গণআন্দোলনের বিপক্ষে যায় সুপ্রিমকোর্টের এমন কিছু করা উচিত না’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১০ আগস্ট ২০২৪ ১৩:০৪

ঢাকা: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, প্রধান বিচারপতি ফুল-কোর্টের মিটিং ডেকেছেন। এটি একটা অনভিপ্রেত ঘটনা। এমন ঘটনা না ঘটলেই ভালো। আমরা মনে করি, সুপ্রিমকোর্ট আমাদের সংবিধান ও মানবাধিকার রক্ষার সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান। সেখান থেকে এমন কিছু করার উচিত না, যাতে ছাত্রজনতার গণআন্দোলনের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে যায়।

শনিবার (১০ আগস্ট) নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন ড. আসিফ নজরুল।

তিনি বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি, সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি একটি ফুল কোর্ট মিটিং ডেকেছিলেন। ছাত্রজনতার পক্ষ থেকে আমি একটি পোস্ট দেখেছি, আসিফ মাহমুদ বলেছেন যে তিনি কারও সঙ্গে কনসাল্ট করেননি, তিনি নিজেই ডেকেছেন। আমি মনে করতে পারি, একটা স্বৈরাচারী পরাজিত শক্তির মুভ। আমি যতদূর মনে করতে পারি। এ ব্যাপারে মন্তব্য করার আগে কয়েকটি কথা বলতে চাই, আমাদের প্রধান বিচারপতি অত্যন্ত শ্রদ্ধেয়। তার কিছু বিষয়ে তো প্রশ্ন ছিল, বিশেষ করে যখন এই আন্দোলনটা হচ্ছে, তখন তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, আন্দোলন করে রায় পরিবর্তন করা যায় কিনা? বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি মানুষ।’

তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া দুঃখজনক একটা বিষয় ছিল, প্রধানবিচারপতি হওয়ার পর তিনি ছাত্রলীগের কাছ থেকে ফুলের শুভেচ্ছা নিয়েছিলেন। ব্যক্তিগতভাবে এটা আমার কাছে কোড অব কন্ডাক্টের লঙ্ঘন ছিল। এটি ভালো একটা ইমপ্রেশন দেয় না। এছাড়া ডিবি পুলিশের প্রধান হারুন, ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ধরে নিয়ে নির্যাতন করে আটকে রাখার মূল ব্যক্তি ছিলেন। সেই হারুনের কাছ থেকে প্রধান বিচারপতি সোনার তরবারি উপহার নিয়েছিলেন।’

‘আমার কাছে তখন খুব অবাক লেগেছিল। তিনি বিদেশে গেলে আওয়ামী লীগের নেতাদের বাসায় থাকতেন। এসব কারণে এমনিতেই তাকে নিয়ে বিতর্ক ছিল। এরপর মামলা তোলার সময় তিনি যখন এই মন্তব্য করেছিলেন, কীসের আন্দোলন? ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে এরইমধ্যে তার পদত্যাগের বিষয়ে দাবি ওঠেছিল। আজ আবারও সেটি বলা হয়েছে।’

ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘দেশের পুলিশকে গণআন্দোলনের বিপক্ষে দাঁড় করানোয় কী পরিণতি হয়েছে, সেটি আপনারা দেখেছেন। আমরা এমন কিছুই চাইব না। সবার যেন শুভবুদ্ধির উদয় হয়, সেটি আমরা চাইব। ছাত্র জনতার গণআন্দোলনের আকাঙ্ক্ষার প্রতি আমরা সবাই যেন সম্মান দেখাই।’

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে আইনগত সংস্কার করে উপযুক্ত জায়গায় উপযুক্ত ব্যক্তিদের পদায়ন করে আমার মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারাধীন বিষয়ে যা যা করার আছে, আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। আমি মনে করি, এটি আমার দায়িত্ব। আমার অনেক ছাত্র আছেন, লোয়ার জুডিশিয়ারিতে, হায়ার জুডিশিয়ারিতে, কীভাবে মিসক্যারেজ অব জাস্টিস হয়েছে, বিচারের নামে কীভাবে হয়রানি হয়েছে, ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, পুরো প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমি জানি। আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করব।’

সাইবার নিরাপত্তা আইন থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যে কোনো ধরনের খারাপ আইন, যেটি সংস্কার বা বাতিল করা প্রয়োজন, সেটি আমরা সুচিন্তিতভাবে পদক্ষেপ নেব। আমি নিজেও সাইবার নিরাপত্তা আইনের আসামি ছিলাম। কাজেই বুঝতে পারছেন যে সাইবার নিরাপত্তা আইনকে ভালোবাসার কোনো কারণ নেই।’

সারাবাংলা/জেআর/একে/ইআ

আসিফ নজরুল প্রধান বিচারপতি সুপ্রিমকোর্ট


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর